শুক্রবার, ২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

জাতিসংঘে ইসরাইল-হামাস যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়া

চলমান সংঘাতের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে দোষারোপ করার সময় শুক্রবার গাজা উপত্যকা এবং ইসরাইলে ‘মানবিক যুদ্ধবিরতির’ আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত।

এএফপি’র হাতে আসা নিরাপত্তা পরিষদে উপস্থাপিত রাশিয়ান খসড়া প্রস্তাবে ‘অবিলম্বে’ একটি যুদ্ধবিরতি এবং সমস্ত জিম্মিদের নিরাপদ মুক্তির আহ্বান জানিয়েছে এবং ‘বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে পরিচালিত সমস্ত সহিংসতা, শত্রুতা এবং সব ধরণের সন্ত্রাসবাদী কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা জানায়।’

নথিতে বিশেষভাবে শনিবার ইসরাইলে হামলা চালানো হামাসের নাম উল্লেখ করা হয়নি। এই হামলায় ১,৩০০ লোকের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় প্রায় ১৫০ জনকে আটক করে তারা গাজায় নিয়ে আসে।

যুক্তরাষ্ট্র নিরাপত্তা পরিষদকে ফিলিস্তিনি ইসলামপন্থীদের এবং ইসরাইলের ইতিহাসে সবচেয়ে মারাত্মক হামলার জন্য তাদের নিন্দা করার আহ্বান জানিয়েছে।

হামাসের হামলার প্রতিশোধ নিতে ইসরাইল ঘনবসতিপূর্ণ গাজায় ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা চালিয়েছে। ইসরাইল এই হামলায় চালিয়ে কমপক্ষে ১,৯০০ লোককে হত্যা করেছে। এদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক। যার মধ্যে ৬শ’ এর বেশি শিশু রয়েছে।

শুক্রবার নিরাপত্তা পরিষদের রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পর রুশ রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া বলেছেন, ‘আমরা নিশ্চিত যে, নিরাপত্তা পরিষদকে অবশ্যই একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে রক্তপাত বন্ধ করতে এবং শান্তি আলোচনা পুনরায় শুরু করতে হবে।’

নেবেনজিয়া বলেন, কিছু সদস্য রাষ্ট্র খসড়া প্রস্তাবের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
তিনি ‘মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান যুদ্ধের দায়ভার’ বহন করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকেও দোষারোপ করেছেন এবং ‘গাজা উপত্যকায় বেসামরিক স্থাপনায় ইসরাইলি বিমান বাহিনীর হামলার প্রতি অন্ধ দৃষ্টি দেওয়ার জন্য’ ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডার লেয়নের সমালোচনা করেছেন।

ইসরাইল-ফিলিস্তিন ইস্যুতে নিরাপত্তা পরিষদ নিয়মিত বিভক্ত। সভার পরে সদস্যরা প্রস্তাবের বিষয়ে সতর্কতার সাথে কথা বলেন।

ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত বারবারা উডওয়ার্ড বলেন, ‘আমরা কাউন্সিলের বৈঠকে যাওয়ার মাত্র দুই মিনিট আগে খসড়া প্রস্তাবটি হাজির করা হয়েছিল।’

‘আমি মনে করি এর মতো গুরুত্বপূর্ণ কিছুর জন্য, আমরা ইতোমধ্যেই দেখেছি যে মানুষের জীবন কতটা ধ্বংস হয়ে গেছে। আমাদের পরামর্শের জন্য সময় দরকার।’

চীনা রাষ্ট্রদূত ঝাং জুন বলেছেন, ‘মানবিক উদ্বেগের বিষয়ে একটি উদীয়মান ঐকমত্য রয়েছে। উত্তেজনা কমাতে সাহায্য করবে এমন সকল উদ্যোগের জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ

সর্বশেষঃ