স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, ছাত্রদলের এক নেতা পুলিশ সদস্যকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে গিয়ে এ কথা জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা তাণ্ডব চালালেও ধৈর্য্যের সঙ্গে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে।
বিএনপির ডাকা হরতাল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগামীকাল হরতালের নামে যেই রাস্তা অবরোধ করবে, সহিংসতা চালাবে তার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রাজধানীর ফকিরাপুল চার রাস্তার মোড়ে হামলার শিকার হয়ে পুলিশের এক কনস্টেবল নিহত হয়েছেন। তার নাম পারভেজ। বাড়ি মানিকগঞ্জের দৌলতপুরের চরকাটরী গ্রামে। তার বাবার নাম সেকান্দার।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) বিকেল ৪টার দিকে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সোয়া ৪টায় মৃত ঘোষণা করেন।
তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. মোহাম্মদ আলাউদ্দিন।
তিনি বলেন, মৃত অবস্থাতেই ওই পুলিশ সদস্যকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। তার মাথায় গুরুতর আঘাত রয়েছে। আমরা ইসিজি করার পর নিশ্চিত হয়ে তাকে মৃত ঘোষণা করেছি।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, তার মাথায় গুরুতর আঘাত করা হয়েছিল। মরদেহটি মর্গে রাখা হয়েছে।
তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা এক যুবক জানান, ফকিরাপুল মোড়ে পুলিশের ওপর যখন হামলা হয় তখন ওই পুলিশ সদস্যসহ ৪ পুলিশ একটি ভবনে ঢুকে পড়েন। ভয়ে তাদের সাথে ভবনটিতে ঢুকেন রায়হান। সেখান থেকে হঠাৎ ওই পুলিশ সদস্য বাইরে বেরিয়ে যান। তখনই তার ওপর হামলা চালানো হয়। তার মাথায় আঘাত করা হয়। সেখান থেকে অন্য পুলিশের সহায়তায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তাকে।
পারভেজ ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটে কর্মরত ছিলেন।