চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের উন্নতির জন্য অ্যান্টনি ব্লিনকেনকে আরও কিছু করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
দুই দিনের চীনে সফরের শেষ পর্যায়ে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন।
সোমবার বেইজিংয়ের তিয়ানআনমেন স্কয়ারে গ্রেট হল অব দ্য পিপলে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিয়ের সঙ্গে ব্লিনকেনের বৈঠক হয়।
বৈঠকে শি বলেন, “চীন নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে এবং দুই পক্ষ (চীন ও যুক্তরাষ্ট্র) প্রেসিডেন্ট (জো) বাইডেন ও আমি বালিতে যে সাধারণ বোঝাপড়ায় পৌঁছেছিলাম তা অনুসরণ করতে সম্মত হয়েছে ।”
নভেম্বরে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে অনুষ্ঠিত জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের কথা উল্লেখ করে বলেন তিনি।
বিবিসি জানিয়েছে, তিনি চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের উন্নতির জন্য ব্লিনকেনকে আরও কিছু করার আহ্বান জানান।
চীনের প্রেসিডেন্ট বলেন, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ককে স্থিতিশীল করতে ব্লিনকেন ‘আরও ইতিবাচক ভূমিকা রাখবেন’ বলে তিনি আশা করেন।
“রাষ্ট্রের সঙ্গে রাষ্ট্রের মিথস্ক্রিয়া সবসময়ই পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও আন্তরিকতা ভিত্তিক হওয়া উচিত,” বলেন শি।
“আমি আশা করি এই সফরের মাধ্যমে, সেক্রেটারি (পররাষ্ট্রমন্ত্রী) চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক স্থিতিশীল করতে আপনি আরও ইতিবাচক অবদান রাখবেন।”
দুই পক্ষ ‘অগ্রগতি ঘটিয়ে কিছু নির্দিষ্ট ইস্যুতে সমঝোতায় পৌঁছেছে, এট খুব ভালো’ বলেও মন্তব্য করেছেন শি।
তিনি চীনের শীর্ষ কূটনীতিক ওয়াং ই এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিনের সঙ্গে ব্লিনকেনের বৈঠককে ‘অকপট ও গভীর আলোচনা’ বলে বর্ণনা করেছেন।
তবে তার এসব কথার জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কী বলেছেন তা জানাতে পারেনি বিবিসি। চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমধ্যমের প্রকাশ করা তাদের বৈঠকের দুই মিনিটের একটি ভিডিও থেকে চীনের প্রেসিডেন্টের এসব বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।
চীনের প্রেসিডেন্ট ‘কিছু নির্দিষ্ট ইস্যুতে সমঝোতায় পৌঁছানোর’ কথা উল্লেখ করলেও ব্লিনকেনের সফর চলাকালে একমাত্র যে সমঝোতার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে তা হল, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিন গ্যাংয়ের যুক্তরাষ্ট্র সফরের পরিকল্পনা এবং দুই দেশের মধ্যে আরও কিছু ফ্লাইট এবং সাংস্কৃতিক যোগাযোগ।