সোমবার, ৩০শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ঘূর্ণিঝড় ‌‌’দানা’ : পায়রা বন্দরে সতর্ক সংকেত-৩

পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্নিঝড় ‘দানা’ আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আজ দুপুর ১২টার দিকে পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৪৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিল।

স্থানীয় ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্র জানায়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘন্টায় ৯০ কিলোমিটার। যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটি আজ মধ্যরাত নাগাদ ভারতের উত্তর উড়িষ্যা ও পশ্চিম উপকূল অতিক্রম করতে পারে। পায়রা সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না যাওয়া পর্যন্ত উপকূলীয় এলাকার সকল নৌযান সমূহকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

এর প্রভাবে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বুধবার রাতভর হালকা থেকে মাঝারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে উপকূল জুড়ে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। উপকূলীয় এলাকার নদ নদীর পানি স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে দুই থেকে তিন ফুট অধিক উচ্চতায় প্লাবিত হতে পারে। আকাশ ঘন কালো মেঘাচ্ছন্ন অবস্থায় রয়েছে। বাতাসের চাপ আরও কিছুটা বেড়েছে।

এদিকে কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর বেশ উত্তাল রয়েছে। বড় বড় ঢেউ তীরে আছড়ে পড়ছে। সমুদ্র সৈকত থেকে সকল পর্যটকদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

উপজেলা দুর্যোগ ও ত্রাণ কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ঘূর্নিঝড় দানা মোকাবেলায় কলাপাড়ায় ১৯ টি মুজিব কেল্লা সহ ১৭৫ টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে দেড় লাখ মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, জেলায় ৮২৯ টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে ৪ লাখ ১৪ হাজার ৫০০ মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। এছাড়া নগদ ১৩ লাখ ৭০ হাজার ৫০০ টাকা, জিআর চাল ৮০০ মেট্রিক টন, গো খাদ্যের জন্য পাঁচ লাখ টাকা, শিশু খাদ্যের জন্য পাঁচ লাখ টাকা, ১০০০ প্যাকেট শুকনো খাবার ও ৫ লাখ পিস পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট মজুদ রাখা হয়েছে।

মহিপুর মৎস্য বন্দরের আড়ৎ মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি মো. দিদার উদ্দিন আহম্মেদ মাসুম বলেন, মাছধরা নিষেধাজ্ঞার কারনে এমনিতেই সব ট্রলার উপকূলে আছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ

সর্বশেষঃ