ঘুর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে উপকুলীয় অঞ্চল আমতলী ও তালতলীতে গুমোট আবহাওয়া বিরাজ ও রাতভর গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার সারা দিনে সুর্য্যরে আলো দেখা মেলেনি। উপজেলা প্রশাসন হামুন মোকাবেলায় নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্র খোলা রাখা, শুকনো খাবার প্রস্তুত ও মাইকিং করেছে। উপকুলীয় অঞ্চলের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করলেও কেউ আশ্রয় কেন্দ্রে যায়নি বলে জানান সিপিপির টিম লিডার রিপন মুন্সি।
জানাগেছে, ঘুর্ণিঝড় হামুন পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ১১০ কিলোমিটার দুরে অবস্থান করছে। উপকুলীয় অঞ্চলকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। হামুনের প্রভাবে সাগর ও পায়রা নদী উত্তাল রয়েছে। স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে পানি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। ইলিশ শিকারে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা থাকায় জেলে নৌকা ও ট্রলার নিরাপদ স্থানে রয়েছে। মঙ্গলবার সারা দিনে সুর্য্যরে মুখ দেখা যায়নি। রাতভর গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হয়েছে। উপকুলীয় জেলেদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করলেও কেউ নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে যায়নি বলেন জানান সিপিপির টিম লিডার মোঃ রিপন মুন্সি।

আমতলী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ জামাল হুসাইন বলেন, ঘুর্ণিঝড় হামুন মোকাবেলায় শুকনো খাবারসহ সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, ঘুর্ণিঝড় হামুন মোকাবোলয় ১১১টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। রাত ৮টার মধ্যে উপজেলার সর্বস্তরের মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে মাইকিং করা হয়। তিনি আরো বলেন, একজন মানুষও এ ঘুর্ণিঝড়ে আশ্রয়হীন থাকবে না, সেই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।