চাকরি স্থায়ীকরণ, শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ, মজুরি বাড়ানোসহ বিভিন্ন দাবিতে গাজীপুরের টঙ্গী, কালিয়াকৈর ও সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পোশাক ও ওষুধ কারখানাসহ অন্তত ১০টি কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এসময় কয়েকটি কারখানার শ্রমিকেরা ঢাকা- ময়মনসিংহ ও ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করে। এতে দীর্ঘ যানজটের ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে ইন্টারস্টাফ অ্যাপারেলস লিমিটেড পোশাক কারখানার সামনে চাকরি প্রার্থী যুবকরা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। এ সময় প্রায় আধ ঘন্টা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল। চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, কারখানা কর্তৃপক্ষ দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করিয়েও নতুন করে কোন পুরুষ শ্রমিক নিয়োগ না দেয়ার সিদ্ধান্ত জানায়। কারখানাটি শুধুমাত্র নারী শ্রমিকদের নিয়োগ দিয়ে আসছে এবং পুরুষ প্রার্থীদের বঞ্চিত করছে। এমন অভিযোগ তুলে এক পর্যায়ে, চাকরি না পাওয়ায় বিক্ষোভে উত্তেজিত হয়ে চাকরি প্রার্থীরা ওই মহাসড়ক অবরোধ করে এবং কারখানার দিকে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে। কারখানার ভেতরে থাকা শ্রমিকেরাও ছাদ থেকে তাদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুঁড়তে শুরু করে। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে সেনাবাহিনী ও বিজিবির সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রায় আধা ঘণ্টা পর মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এদিকে, সদর উপজেলার বিকেবাড়ি এলাকায় চাকরি স্থায়ীকরণ, শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ, মজুরি বাড়ানোসহ ২১ দফা দাবিতে ইউনিমেড ইউনিহেলথ ফার্মাসিউক্যাল নামের ওষুধ কারখানার শ্রমিকরা কর্মবিরতি করে আন্দোলনে নামে। এসময় শ্রমিকরা কারখানা ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে। পরে ১১ টার দিকে মালিক পক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসেন শ্রমিক প্রতিনিধিরা। এছাড়া বেতন বাড়ানোসহ বিভিন্ন দাবিতে টঙ্গীতে কারখানার সামনে বিক্ষোভ করে বাটা সু কোম্পানির শ্রমিকরা।
গাজীপুর শিল্পাঞ্চল -২ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান আহমেদ বলেন, নতুন চাকরির দাবি, চাকরিতে নারী বৈষম্য দূর করা, বেতন ভাতা বাড়ানোসহ বিভিন্ন দাবিতে গাজীপুর মহানগরের ভোগড়াসহ বিভিন্ন এলাকার ১১টি কারখানায় শ্রমিক আন্দোলন হয়েছে। পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করছে।