গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মোগর খাল এলাকায় দাম্পত্য কলহের জের ধরে স্ত্রী ও তার স্বজনদের হাতুড়ির আঘাত ও লাঠিপেটা করে এক যুবকের পা ভেঙ্গে এবং তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করে ভাঙচুর ও লুটপাট পাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে ।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী আলী হোসেন বাদি হয়ে থানায় অভিযোগ দায়েরের পাশাপাশি গতকাল (২৫ জুন) মঙ্গলবার গাজীপুর জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থায় আইনী সহায়তার আবেদন করেছেন।
নগরের মোগর খাল এলাকায় স্থানীয় মান্নানের বাসার ভাড়াটিয়া কিশোরগঞ্জের পং পাচিহা গ্রামের বাসিন্দা আলী হোসেনের অভিযোগে জানা গেছে, তিনি তার ছেলে-মেয়ে ও স্ত্রী চুমকি আক্তারকে নিয়ে একই বাসায় বসবাস করতেন।
গত ১৮ জুন রাত সাড়ে ১২ টায় তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ দেখা দেয়। এর জের ধরে চুমকি আক্তার দুই ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার ও কাপড়- চোপড় নিয়ে তার ভাই নাসিমের বাসায় চলে যান। পরদিন দুপুরে অভিযুক্ত চুমকি আক্তার, তার ভাই মোঃ নাসিম সহ অজ্ঞাতনামা ৫-৬ জন লোক লোহার রড, হাতুড়ি ও লাঠি সোটা নিয়ে নতুন বাজার এলাকায় আলী হোসেনের মা টেলিকম এন্ড ইলেকট্রনিক্স নামের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়। এসময় আলী হোসেন ও তার বয়স্ক মা বাঁধা দিলে অভিযুক্তরা এলোপাথারি মারধর শুরু করে।
এক পর্যায়ে স্ত্রী চুমকি আক্তার হাতুড়ি দিয়ে আলী হোসেনের মাথা লক্ষ্য করে আঘাত করেন। তিনি দ্রুত সরে গেলে তার পায়ের গোড়ালিতে হাতুড়ির আঘাত লেগে বাম পায়ের হাড় ভেঙ্গে যায়। এসময় দোকানের ক্যাশ বাক্স ভেঙ্গে ব্যবসার তিনলাখ টাকা নিয়ে নেয়। পরে স্থানীয় লোকজন আলী হোসেনকে উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। আলী হোসেন তদন্ত করে এসবের আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রার্থনা জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে আলী হোসেনের শ্যালক অভিযুক্ত মোঃ নাসিম বলেন, অন্য মেয়ের সাথে সম্পর্কের কারণে তার বোন চুমকি আক্তারের সাথে ঝগড়াঝাঁটির পর আলী হোসেন মারধর করে। এ জন্য হাসপাতালে চিকিৎসা ও নিতে হয়েছে। এ বিষয়ে আদালতে মামলা দেয়া হয়েছে।মারধরের ঘটনাটি এখন ভিন্ন খাতে নেওয়ার জন্য আলী হোসেন মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন।