শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

গাজীপুরে বিআরটি প্রকল্পের গণশুনানিতে ক্ষোভ

নগরে ছন্দময় পথচলার অঙ্গীকার নিয়ে যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে দেশের প্রথম বাস র ্যাপিড ট্রান্সজিড (বিআরটি) প্রকল্প। এরই মধ্যে খুলে দেওয়া হয়েছে এই প্রকল্পের ৭টি ফ্লাইওভার।
এই প্রকল্পের অগ্রগতি ও সম্ভাবনা এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের চাহিদা বাস্তবায়ন নিয়ে গণশুনানিতে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের উপদেষ্টা ও সিটির সাবেক মেয়র মোঃ জাহাঙ্গীর আলম সহ উপস্থিত অনেকেই ভোগান্তি সহ নানা অব্যবস্থাপনা তুলে ধরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভাওয়াল সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এ গণশুনানি ও পাখি বৈঠকে প্রেস ব্রিফিং এ যোগ দেন সড়ক ও সেতু বিভাগের অতিরিক্ত সচিব একেএম শামীম আক্তার । এতে গাজীপুর জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম, বিআরটি প্রকল্পের ব্যবস্থানা পরিচালক মোঃ মনিরুজ্জামান, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, জিএমপির উপ- কমিশনার (ট্রাফিক) আলমগীর হোসেনসহ বিআরটি প্রকল্পের শীর্ষ কর্মকর্তা, নগর পরিকল্পনাবিদ, শিক্ষাবিদ ও স্থানীয় সাংবাদিকরা অংশ গ্রহণ করেন।

গণশুনানীতে অংশ নেয়া সিটি কর্পোরেশনের প্রতিনিধি সিটির উপদেষ্টা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম দীর্ঘ মেয়াদের এই প্রকল্প নিয়ে নগরবাসী এবং মহাসড়ক হয়ে উত্তরবঙ্গ ও উত্তরাঞ্চলে চলাচলকারী মানুষের ভোগান্তি সহ প্রকল্পের নানা অসঙ্গতি তুলে ধরেন।

এছাড়া অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা, সরু লেন, ফুটপাত না থাকা, স্টেশন ব্যবহারের নানা ভোগান্তির শঙ্কা এবং প্রকল্পের ডিজাইনের বিভিন্ন ত্রুটির কথা উল্লেখ করেন। শুনানিতে অংশগ্রহণকারী অনেকেই দ্রুত এই প্রকল্প শেষ করে চালুর পাশাপাশি রাজধানী ঢাকার সাথে দ্রুত সমূহ সময় চলাচলের স্বার্থে বিকল্প সড়ক সড়ক নির্মাণের দাবী জানান।

সট- সাবেক মেয়র
গণশুনানিতে আয়োজকরা জানিয়েছেন, যানজট নিরসনে গাজীপুরের শিববাড়ি থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার বিআরটি প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ডিসেম্বরে চালু হচ্ছে বিআরটি প্রকল্প। এতে ২৫টি স্টেশনের মাধ্যমে যাত্রীরা ৩০-৪০ মিনিটে বিমান বন্দরে যেতে পারবেন। বিআরটি লেনে কোন সিগনাল বা ক্রসিং থাকবে না। বিআরটির নির্ধারিত লেনে অন্য কোন যানবাহন ও চলাচল করতে পারবে না।

এই প্রকল্পের কিছু ত্রুটির কথা স্বীকার করে সড়ক ও সেতু বিভাগের অতিরিক্ত সচিব একেএম শামীম আক্তার বলেন, যেসব সমস্যার কথা এখানে আলোচনা হয়েছে সমাধানের জন্য সেগুলোর সার সংক্ষেপ সরকারের কাছে উপস্থাপন করা হবে।গণশুনানিতে বিআরটি প্রকল্প বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসন, মহানগর পুলিশ, গাজীপুর সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষকে সঙ্গে নিয়ে সমন্বিতভাবে কাজ করার তাগিদ দেয়া হয়।

সট- অতিরিক্ত স

প্রসঙ্গত: ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের রাজধানীর বিমানবন্দর থেকে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত মহাসড়কের যানজট দূর করতে ২০১২ সালে হাতে নেওয়া হয় বিআরটি প্রকল্প। প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে আবদুল্লাহপুর থেকে টঙ্গীর চেরাগআলী পর্যন্ত ৪ দশমিক ৫ কিলোমিটার উড়াল সড়ক ও ৮টি ফ্লাইওভার নির্মাণ। সড়কের প্রধান করিডোরের সঙ্গে সংযোগের জন্য বিভিন্ন অংশে ১১৩টি সংযোগ সড়ক নির্মাণ, ২৫টি বিআরটি স্টেশন নির্মাণ, ঢাকা বিমানবন্দর ও গাজীপুরের শিববাড়ী এলাকায় দুটি বাস টার্মিনাল নির্মাণ। বাস স্টপেজে প্রবেশ ও বের হওয়া এবং পথচারী পারাপারের জন্য ৩০টি আন্ডারপাস নির্মাণ, সড়কের দুই পাশে উচ্চ ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ৪১ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ। ইতোমধ্যে প্রকল্পের ৯১ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে বিআরটি কর্তৃপক্ষ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ

সর্বশেষঃ