সরকারি ছুটির দিনে সাধারণত বন্ধ থাকার কথা থাকলেও কয়েকদিনের শ্রমিক অসন্তোষ, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগসহ নানা অঘনের প্রেক্ষিতে বন্ধ থাকায় শিল্পকারখানার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) গাজীপুরের অধিকাংশ শিল্প কলকারখানা খোলা ছিল। তবে দুটি কারখানায় বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ করেছে। একটি কারখানা শ্রমিকেরা দফায় দফায় প্রায় দেড় ঘন্টা মহাসড়কে বিক্ষোভ করলে ঢাকা- ময়মনসিংহ মহাসড়কে যান চলাচল ব্যাহত হয়। নিরাপত্তার পাশাপাশি পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা কাজ করছেন।
জেলার জয়দেবপুর থানার ওসি আব্দুল হালিম জানান, সদর উপজেলার মেম্বারবাড়ি এলাকায় ছুটিসহ ৭দফার দাবিতে সিলকিন সুইং কারখানা শ্রমিকেরা ঢাকা- ময়মনসিংহ মহাসড়কের একপাশে অবস্থান নিয়ে সকাল সাড়ে আটটার থেকে ১০টা পর্যন্ত দফায় দফায় বিক্ষোভ করে। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বুঝিয়ে সাজিয়ে শ্রমিকদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়।
শিল্প পুলিশের শ্রীপুর জোনের ইন্সপেক্টর আ স ম আব্দুর নূর জানান, গাজীপুর সদরের বাঘের বাজার এলাকার গোল্ডেন রিপিট, মন্ডল গ্রুপ, এসএম নীটওয়্যার সহ ওই এলাকার কয়েকটি পোশাক কারখানা বন্ধ ছিল। তবে ওই এলাকার ৮৬ ভাগ কারখানা খোলা রয়েছে।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের বেক্সিমকো জোনের সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ গোলাম মোর্শেদ জানান, মঙ্গলবার সকালে নগরের কাশিমপুর থানাধীন বেঙ্গল পলিমার কারখানায় চাকরিচ্যুত শ্রমিকেরা পুনঃ নিয়োগের দাবিতে কারখানার সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে পুলিশের পাশাপাশি তাৎক্ষণিকভাবে বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ খলিলুর রহমান জানান, জেলা ও মহানগর এলাকা জুড়ে কমপক্ষে ৮৫ শতাংশের মতো কলকারখানা খোলা ছিল। শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই পোশাক কারখানা সহ অন্যান্য কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিল। দুই-একটা কারখানা ছাড়া কোথাও তেমন কোন বিশৃঙ্খলা হয়নি। শিল্প প্রতিষ্ঠান ও শিল্প এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার রাখতে শিল্প পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে।