ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, গাজায় স্থল অভিযানের সময় রোববার দেশটির সেনাবাহিনীর এক সদস্য নিহত হয়েছে। ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাসের একটি ট্যাঙ্কবিরোধী ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে তিনি নিহত হন। ওই অভিযানে আরও তিনজন সৈন্য আহত হয়েছে।
দেশটির সামরিক বাহিনীর বক্তব্য, অভিযানের উদ্দেশ্য ছিল গাজার খান ইউনিস এলাকায় হামাসের হাতে জিম্মিদের শনাক্ত এবং তাদের সামরিক অবকাঠামো ব্যর্থ করা। হামাস এই হামলা চালিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে হামাসের সামরিক শাখা কাসাম ব্রিগেডস টেলিগ্রামে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলি বাহিনীকে ইসরায়েলে ফেরত পাঠিয়েছে। এ সময় একটি ট্যাংক ও দুটি বুলডোজার ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে কাসাম ব্রিগেডস জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীতোদের সীমান্ত পার হয়ে গাজায় এগুলো তাদের একটি সাঁজোয়া দলের সঙ্গে হামাস যোদ্ধাদের লড়াই শুরু হয়।
গত সপ্তাহে ইসরায়েলি পদাতিক বাহিনী ও ট্যাঙ্ক গাজা উপত্যকায় প্রবেশ করে। গাজা শহর থেকে সব বেসামরিক নাগরিককে দক্ষিণে নিরাপদ জায়গায় সরে যাওয়ার আহ্বান জানায় ইসরায়েল। এজন্য ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেয় তারা।
রয়টার্স জানায়, হামাসকে নির্মূলে গাজায় টানা এক সপ্তাহ ধরে ভারী বোমাবর্ষণের পর এই প্রথম স্থল অভিযানের ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, আগামী দিনগুলোতে তারা গাজা শহরে ‘উল্লেখযোগ্য’ অভিযান চালাবে। পরবর্তী ঘোষণা না আসা পর্যন্ত বেসামরিক নাগরিকরা ফিরে আসতে পারবেন না।
ইসরায়েলের এ ঘোষণার পর গাজা শহর ছাড়তে দেখা যায় অনেক বাসিন্দাকে। তবে হামাস তাদের বাসস্থান ছেড়ে যেতে নিষেধ করেছে। ইসরায়েলের সামরিক মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি বলেন, ‘ফিলিস্তিনি রকেট ক্রুদের ওপর হামলা চালাতে এবং হামাসের হাতে জিম্মিদের অবস্থানের তথ্য জানতে ইসরায়েলি সেনারা ট্যাঙ্কের সাহায্যে অভিযান চালিয়েছে।’
হামাস বলছে, তারা শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে হলেও লড়াই চালিয়ে যাবে।