ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রতি ১০ জনের নয়জনই বাস্তুচ্যুত। এদের সংখ্যা ১৯ লাখ বলে ধারণা করছে জাতিসংঘ।
বুধবার (৩ জুলাই) এ তথ্য জানিয়েছে, জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা অফিস ফর দ্য কোঅর্ডিনেশন অফ হিউম্যানিটেরিয়ান অ্যাফেয়ার্স (ওসিএইচএ)।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বার্তাসংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
ওসিএইচএ প্রধান আন্দ্রেয়া ডি ডোমেনিকো বলেন,
গাজায় প্রায় ১৯ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জেরুজালেমে আন্দ্রেয়া বলেন,
আমাদের ধারণা গত বছরের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় প্রতি ১০ জনের মধ্যে নয়জন অন্তত একবার হলেও অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘এর আগে আমরা ১৭ লাখ অনুমান করেছিলাম। এরপর আমারা রাফাতে অনুসন্ধান করেছি। রাফায় বাস্তুচ্যুতির সংখ্যা বেশি হয়েছে। তারপর আমরা গাজার উত্তরাঞ্চলেও অনুসন্ধান করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই ধরনের সামরিক অভিযান মানুষকে বারবার তাদের জীবন নতুন করে শুরু করতে বাধ্য করছে।’
আন্দ্রেয়ার মতে, গত নয় মাসে গাজাবাসী দাবার ঘুঁটির মতো বোর্ডের এপাশ-ওপাশ ঘুরে বেড়াচ্ছে।
ওসিএইচএ প্রধান আরও বলেন, ‘ইসরাইলি সেনাবাহিনীর অভিযানে গাজা উপত্যকা দুভাগে ভাগ হয়েছে। ওসিএইচএর হিসাব মতে উত্তর গাজায় তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ মানুষ বসবাস করছেন, যারা দক্ষিণে যেতে পারছেন না।’
‘গত বছর যুদ্ধ শুরুর পর থেকে চলতি বছরের মে মাসের শুরুতে মিশরের রাফা ক্রসিং বন্ধ হওয়ার আগে পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার মানুষ গাজা ছাড়তে সক্ষম হন। তাদের মধ্যে কিছু মানুষ মিশরেই আছেন, বাকিরা অন্য কোনো দিকে চলে গেছেন’, তিনি বলেন।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজা উপত্যকায় আগ্রাসন চালায় ইসরাইলি সেনাবাহিনী। প্রায় ৯ মাস ধরে চলা এ বর্বরতায় নিহত হয়েছেন ৩৮ হাজারের মতো ফিলিস্তিনি। এর মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। আর এ সময়ে আহত হয়েছেন ৮৭ হাজারেরও বেশি মানুষ।