বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘প্রার্থনা ও ছাত্র-জনতার গণমিছিল’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গতকাল শুক্রবার রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। হবিগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর সঙ্গে সংঘর্ষের এক পর্যায়ে স্থানীয় এমপির বাড়িতে হামলা ও জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ সময় সংঘর্ষের মধ্য পড়ে গুলিতে মোস্তাক আহমেদ নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন।
এদিকে খুলনায় দফায় দফায় সংঘর্ষের একপর্যায়ে সন্ধ্যার দিকে শিববাড়ী মোড়ে আন্দোলনকারীরা কনস্টেবল মো. সুমন ঘরামিকে বেধড়ক মারধর করেন। পরে তাঁকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
অন্যদিকে রাজধানীসহ কয়েকটি জেলায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও ক্ষমতাসীনদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষ হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকার উত্তরায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। ক্ষমতাসীন দলের কর্মীদের গুলি ছুড়তে দেখা যায়। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। সারাদেশে এসব সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ দুই শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। আটক করা হয়েছে অন্তত ৩০ জনকে।
এ ছাড়া কোটা সংস্কার আন্দোলনে ১৮ জুলাই দক্ষিণ বাড্ডায় গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থী সেলিম তালুকদার গতকাল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
এ নিয়ে প্রাণ গেল ২১২ জনের।
রাজধানীর একাধিক এলাকায় গতকাল শিক্ষার্থী, পেশাজীবী, শিল্পী ও চিকিৎসকরা প্রতিবাদ করেছেন। বৃষ্টি উপেক্ষা করে তাদের গণমিছিলে হাজার হাজার মানুষ অংশ নেন। গত কয়েক দিনের মধ্যে দৃশত গতকালই সবচেয়ে বেশি মানুষ রাজপথে নেমে আসেন।