রবিবার, ২৮শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

খাগড়াছড়িতে অবরোধের মধ্যে গুইমারায় বাজারে আগুন

গুইমারা উপজেলার রামেসু বাজারে জ্বলছে দোকান-পাট

খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদে ‘জুম্ম-ছাত্র জনতা’র ব্যানারে অবরোধ চলাকালে গুইমারায় একটি বাজারে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বাজারের বেশ কয়েকটি দোকান পুড়ে গেছে। এছাড়াও বাজারের পাশে বাড়িঘরও আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আজ রোববার দুপুরে খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলার রামেসু বাজারে এ ঘটনা ঘটে। বাজারে আগুন দেওয়ার ভিডিও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে আগুনে বাজারের দোকানপাট জ্বলতে দেখা যায়। বাজারের দোকানমালিকদের অধিকাংশ পাহাড়ি বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গুইমারা বাজারে কে বা কারা আগুন দিয়েছে। এতে কমপক্ষে ২০টি দোকান ও বসতবাড়ি পুড়ে গেছে।

আগুন দেওয়ার ঘটনাকে অত্যন্ত সুপরিকল্পিত উল্লেখ করে দ্বীপায়ন ত্রিপুরা বলেন, পার্বত্য উপদেষ্টাসহ সরকারি শীর্ষ ব্যক্তিদের সঙ্গে যখন জেলা প্রশাসকের অফিসে সভা হচ্ছিল; ঠিক সে সময় নিরীহ পাহাড়িদের ওপর হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এটা মেনে নেওয়ার মতো নয়।

প্রত্যক্ষদর্শী আরও জানান, ২০-২৫ জন লোক এসে রামেসু বাজার ও বসতবাড়ি লুটপাট করে এবং যাওয়ার সময় আগুন ধরিয়ে দেন। এসব লোকের সঙ্গে মুখোশ পরা ছিল। এ সময় দোকানপাট ও বসতবাড়ির সঙ্গে অনেকগুলো মোটরসাইকেলেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

জুম্ম ছাত্র-জনতা’র সংগঠক সুইচিসাই জানান, দুপুর ১২টার পর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু সদস্য রামেসু বাজার এলাকায় তল্লাশি ও মারমুখো ছিল। এর জবাবে এলাকাবাসী সংঘবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ জানাতে থাকলে উভয়পক্ষ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় জড়িয়ে পড়ে। এ সময় নিরস্ত্র এলাকাবাসীর ওপর ছররা গুলি ছোঁড়া হয়। এতে ৬-৭ জন গুরুতর জখম হয়েছে। এরমধ্যে তিনজনের অবস্থা অত্যন্ত গুরুতর।

এ বিষয়ে খাগড়াছড়ির গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনামুল হক চৌধুরী ফোনে গণমাধ্যমকে জানান, অবরোধ নিয়ে পাহাড়ি-বাঙালিদের মধ্যে ঝামেলা চলছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গেও ঝামেলা হয়। এখন পরিস্থিতি উত্তপ্ত। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ

সর্বশেষঃ