কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলায় মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে জসিম উদ্দিন (৩০) এর হাতে মা আশিলা বেগম (৬৭) খুন হয়েছেন।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) দিনগত রাতে উপজেলার রাউতি ইউনিয়নের পুরুড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত আশিলা বেগম (৬৭) উপজেলার রাউতি ইউনিয়নের পুরুড়া গ্রামের মৃত শামছু মিয়ার স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মানসিক ভারসাম্যহীন (পাগল) ছিলেন জসিম উদ্দিন (৩০)। পাগলামির কারণে পাঁচ-ছয় বছর ধরে তাকে পায়ে শিকল বেঁধে ঘরের ভেতরে রাখা হতো। শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) দিনগত রাতে জসিমকে শিকল দিয়ে খাটের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়। রাতের খাবার শেষে মা আশিলা বেগম ও ছেলে জসিম একই ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। কিছুক্ষণ পর ঘরের দরজা খোলা দেখে সন্দেহ হয় পরিবারের অন্য সদস্যদের। তখন ঘরের ভিতরে গিয়ে দেখা যায়, জসিম ঘরে নেই। আর মা আশিলা বেগমের দেহ নিথর অবস্থায় পড়ে রয়েছে। গলায় আঘাতের চিহ্ন থাকায় ধারণা করা হচ্ছে, মা আশিলা বেগমকে শ্বাসরোধে হত্যা করে পালিয়ে গেছে ছেলে জসিম। ঘটনার খবর পেয়ে তাড়াইল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
তাড়াইল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শ্যামল মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে জসিম উদ্দিন তার মাকে গলাটিপে হত্যা করে পালিয়ে গেছে। অভিযুক্ত জসিমকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।









