শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কারাগারে আটক নেতা-কর্মীদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে: বিএনপি

কারাগারে আটক নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ‘অমানবিক’ আচরণ হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। দলটির পক্ষ অভিযোগ করে বলা হয়েছে, শীর্ষ নেতাদের আটকের পর চব্বিশ ঘন্টার বেশি সময় তাদের লক-আপে রাখা হয়েছিল। গ্রেফতারকৃত অধিকাংশ নেতাকর্মী অসুস্থ থাকলেও তাদের ওষুধপত্র পর্যন্ত কারাগারে দিতে দেওয়া হচ্ছে না। কাপড় চোপরও পৌঁছানো যাচ্ছে না। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাত করতে দেওয়া হচ্ছে না। বার বার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কারাফটকে নিয়ে গেলে কারা কর্তৃপক্ষ তা ফিরিয়ে দিচ্ছে। মিথ্যা সাজানো মামলায় রাজবন্দী হলেও তাদের সঙ্গে আচরণ করা হচ্ছে চিহ্নিত খুনি ও দুর্ধর্ষ আসামির মতো। যা কারাবিধি ও মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লংঘন।

বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির ভারপ্রাপ্ত দফতর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স এসব অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, নিশিরাতের সরকারের সাজানো মিথ্যা মামলায় আটক সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমদ অত্যন্ত অসুস্থ। তাকে ডিভিশন দেয়া হয় নাই। দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালামকে দেয়া হয়নি ডিভিশন। কারাবন্দি দলের শীর্ষ নেতাসহ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে এমন ঘৃণ্য আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং তাদেরকে কারাবিধি অনুযায়ী প্রাপ্য চিকিৎসার সুযোগসহ অন্যান্য সুবিধা দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

মার্কিন রাষ্ট্রদূতেক হেনস্তার ঘটনার নিন্দা:মার্কিন রাষ্ট্রদহৃতের ‘নিরাপত্তা’ বিঘিœত হওয়া ঘটনা নিন্দা জানিয়ে এজন্য সরকারকে অভিযুক্ত করেছেন সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।

তিনি বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের যে অপরাজনীতি সেই অপরাজনীতি থেকে বাংলাদেশের কেউ তো নয়ই, বিদেশীরা আজকে নিরাপদ নয়। এই ঘটনার আমরা তীব্র প্রতিবাদ এবং নিন্দা জানাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রী যেভাষায় বক্তব্য দিয়েছেন তাতে প্রমাণ করে এই ঘটনার সাথে তারা জড়িত। তারা উস্কানি দিয়ে সেখানে লোক পাঠিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পতাকাবাহী গাড়ির ওপরে তারা আঘাত করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের যিনি প্রতিনিধি অ্যাম্বেসেডর বা রাষ্ট্রদূত তাকে সেখানে হেনস্তা করা হয়েছে। এর আগেও একবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদহৃত মার্শা বার্নিকাটের পতাকাবাহী গাড়িতে এই সরকারের নির্দেশেই হামলা চালানো হয়েছিলো। এবারের এই ঘটনার মধ্য দিয়ে বিশ্বে ভাবমুতি দারুণভাবে ক্ষুন্ন হবে। বাংলাদেশে যে গণতন্ত্র নেই, আইনের শাসন নেই, মানবাধিকার নেই, এখানে যে একটা অপশাসন চলছে সেটাই আরো ফুটে উঠেছে।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভুঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় নেতা কাজী আবুল বাশার, তাইফুল ইসলাম টিপু, কাজী রওনাকুল ইসলাম টিপু, বেলাল আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ

সর্বশেষঃ