সোমবার, ৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কলাপাড়ায় নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে রাস্তার কাজ করছেন ঠিকাদার

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে সড়ক নির্মাণ কাজ করছেন এক প্রভাবশালী ঠিকাদার। স্থানীয়রা দুর্নীতি, অনিয়মের এ বিষয়টি নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা করলেও ভয়ে মুখ খুলতে পারছে না কেউ। এমনকি স্থানীয় জন প্রতিনিধিরাও থাকছেন নিশ্চুপ। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা অনিয়ম বন্ধে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটিকে চিঠি দিলেও নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে কাজ করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি।

সূত্র জানায়, লালুয়া ইউপি কার্যালয় থেকে মঞ্জুপাড়া পর্যন্ত ২৮’শ ৬০ মিটার সড়ক উন্নয়ন কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয় ২০২১ সালের ৮ সেপ্টেম্বরে। আর এই সড়ক নির্মাণ কাজের দায়িত্ব পায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কে কে এন্টারপ্রাইজ। তবে দীর্ঘদিন যাবত ওই সড়কের নির্মাণ কাজে অগ্রগতি না থাকায় স্থানীদের দাবীর মুখে ধীর গতিতে কাজ শুরু করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি। আর কাজ শুরুর পর থেকে নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে কাজ করায় ওই সড়কের নির্মাণ কাজ নিয়ে ক্ষোভের সঞ্চার হয় স্থানীয়দের মাঝে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, সড়কটিতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কোথাও ভাল নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করেনি ঠিকাদার। নির্মাণ কাজে ১ নম্বর ইট ব্যবহার করার কথা থাকলেও নিম্ন মানের ইট দিয়ে সম্পূর্ন সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। যে সকল ইট স্থানীয়দের কাছে চুলার মাটি হিসেবে পরিচিত। এমনকি সড়কে ব্যবহৃত ইট হাতে নিয়ে চাপ দিলেই গুড়ো হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

স্থানীয় অধিবাসী সবুজ জানান, উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নে শের-ই-বাংলা নৌ ঘাঁটি স্থাপনের পর এই প্রথম লালুয়া ইউনিয়নে পাকা সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। তবে সড়ক উন্নয়ন কাজে এমন দুর্নীতি কোনদিন দেখেননি বলে অভিযোগ তার। তিনি বলেন, ইট নামের চুলার মাটি দিয়ে সড়ক নির্মাণ হচ্ছে। যা যানবাহন চলাচলে ইতোমধ্যে ধুলায় পরিনিত হয়েছে। অপর অধিবাসী খলিল মিয়া জানান, একেবারে পঁচা ইট (নিম্মমানের) ব্যবহারের ফলে সব গুড়ো হয়ে বাতাসে উড়ে যাচ্ছে। আর এই ধুলা বসতবাড়িতে প্রবেশ করে পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

লালুয়া ইউপি চেয়ারম্যান তপন বিশ্বাস জানান, প্রায় প্রতিদিনই স্থানীয়রা সড়কটি নির্মাণে ব্যবহৃত নিম্নমানের ইট অপসারনের দাবী নিয়ে আমাকে ফোন করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। আমি নিজেও কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তবুও কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ঠিকাদার।

এবিষয়ে জানতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কে কে এন্টারপ্রাইজের সত্বাধিকারী কবির’র সাথে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

তবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের প্রকৌশলী কাজী ফয়সাল বারি জানান, ইতোমধ্যে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দেয়া হয়েছে। এর পরে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ

সর্বশেষঃ