পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চত্বরের পাঁচটি আকাশমনি গাছ ও পুকুর থেকে মাছ ধরে নেয়ার ঘটনার অভিযোগ আমলে নিয়ে ওসি কলাপাড়াকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে এজাহার গ্রহনের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বিজ্ঞ কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশীষ রায়ের আদালত সোমবার দুপুরে আদেশ প্রদান করেন।
এর আগে আদালতের ষ্টেনো (টাইপিষ্ট) আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে কলাপাড়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) কৌশিক আহমেদ, কানুনগো নজরুল ইসলাম, অফিস সহকারী আমিনুল ইসলাম, তহশিলদার মোঃ আলাউদ্দিন ও গোলাম মোস্তফার নামে পেনাল কোডের ১৪৩, ৪৪৭, ৩৭৯, ১৬৬ ও ৫০৬ (খ) ধারায় এ মামলা দায়ের করেন।
মামলায় বলা হয়, কলাপাড়া উপজেলায় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী জজ আদালত ৬১৪নং দাগের অনুমান ২.০৬ ভূমির উপর সরকার কর্তৃক নির্মিত ভবনে বিচার কার্যক্রম দীর্ঘ বছর ধরে পরিচালিত হয়ে আসছে। সম্প্রতি আদালত ভবন ফাটল ধরায় বিচার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আইন মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদনকৃত ভিন্ন বাড়ি ভাড়া করে বিচার কার্য পরিচালনা হয়ে আসছে। সম্প্রতি এসিল্যান্ডের নির্দেশে আসামিগণ সরকারের অনুমতি ছাড়া আদালত চত্বরের পাঁচটি আকাশমনি গাছ, যা লম্বা প্রত্যেকটি ১৫ ফুট, বেড় ৩ ফুট, আনুমানিক মূল্য ১ লক্ষ টাকা এবং পুকুর থেকে বিভিন্ন প্রজাতির ১ লক্ষ টাকার মাছ ধরে নিয়ে যায়। এ সময় বাদিসহ সাক্ষীরা বাঁধা নিষেধ করলে আসামিরা বাদী ও সাক্ষীদের ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে।
এদিকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) কৌশিক আহমেদ আদালতে মামলা দায়েরের পর গণমাধ্যমকে বলেন, যেহেতু মামলা দায়ের করা হয়েছে এখন বিষয়টি আইনগত ভাবে ফয়সালা হবে।
কলাপাড়া থানার ওসি আলী আহমেদ বলেন, আমি বিষয়টি অবগত নই। আদালতের আদেশ না পেয়ে আমি গণমাধ্যমে কোন বক্তব্য দেবোনা।