পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় উপকূলীয় ম্যানগ্রোভ গাছ কেটে অসহায় পরিবারের বন্দোবস্ত পাওয়া জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে ভূমি অফিসের চিহ্নিত দালাল ভূমিদস্যু নাজেম মীর’র বিরুদ্ধে। উপজেলার চাকামইয়া ইউনিয়নের নিশানবাড়িয়া গ্রামে বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। গাছ কেটে জমি দখলের পর বেকু দিয়ে মাটি কেটে জমির শ্রেণী পরিবর্তন করে ফেলা হয়েছে। এ সময় বন্দোবস্তু পাওয়া জমির মালিক বাঁধা দিতে গেলে তাদেরকে হত্যা, গুমের হুমকি দেয়া হয় বলে কলাপাড়া থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, দরিদ্র সার্পিয়া খাতুনের নামে উপজেলার চাকামইয়া ইউনিয়নের নিশানবাড়িয়া মৌজার জেএল নং ০৩, খাস খতিয়ান নং ৬৯৪, ২২১১৭ নং দাগের এক একর জমি বন্দোবস্ত দেয় সরকার। যার কেস নং ২২৮-কে/৯৯-২০০০, ৮১২-এস এ/২০০০-০১, রেজিষ্ট্রিকৃত দলিল নম্বর ২৮৭৯/০১। বন্দোবস্তু পাওয়ার পর এ জমি দীর্ঘদিন ধরে ভোগ দখল করে আসছে সার্পিয়া। হঠাৎ করে ভূমি অফিসের চিহ্নিত দালাল ভূমিদস্যু নাজেম মীর তার লোকজন নিয়ে সার্পিয়া খাতুনের জমিতে বেকু দিয়ে মাটি কাটা শুরু করে।
এর আগে বন বিভাগের অনুমতি না নিয়েই সেখানের প্রাকৃতিকভাবে জন্মানো ম্যানগ্রোভ প্রজাতির ছইলা, কেওড়া ও বাইন গাছ কেটে নেয় নাজেম মীর।
এ ব্যাপারে মো. নাজেম মীর বলেন, ওই জমির মালিক সার্পিয়া খাতুন আমার কাছে জমি বিক্রি করেছেন। আমি ক্রয় সূত্রে জমির মালিক। সরকারি ম্যানগ্রোভ প্রজাতির ছইলা, কেওড়া ও বাইন গাছ সে কাটেনি বলে দাবি করেন।
বন বিভাগের কলাপাড়া রেঞ্জের সহকারী রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মঞ্জুর কাদের বলেন, আমরা সরেজমিনে গিয়ে ঘটনাটি দেখেছি। ম্যানগ্রোভ প্রজাতির ছইলা, কেওড়া ও বাইন গাছ কাটার কারনে মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে।
কলাপাড়া থানার ওসি মো.জসিম বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে। ৷