যুক্তরাষ্ট্র শুক্রবার প্রথমবারের মতো ইউক্রেনকে ক্লাস্টার বোমা (গুচ্ছ যুদ্ধাস্ত্র) সরবরাহের ঘোষণা দিয়েছে। কিয়েভের বাহিনী রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণে কঠোর লড়াইয়ের মুখোমুখি হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র এই ঘোষণা দিয়েছে।
এই পদক্ষেপে অবিস্ফোরিত বোমাগুলোর বিপদের কারণে মানবাধিকার গ্রুপগুলো যুক্তরাষ্ট্রের তীব্র সমালোচনা করছে। তবে ওয়াশিংটন বলেছে, এ ব্যাপারে কিয়েভের কাছ থেকে তারা আশ্বাস পেয়েছে যে, এই যুদ্ধাস্ত্র জনবহুল এলাকায় ব্যবহার না করা সহ বেসামরিক নাগরিকদের ঝুঁকি হ্রাসের বিষয়টি তারা নিশ্চিত করবে।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সিএনএন’কে বলেছেন, এই অস্ত্র সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত ‘খুব কঠিন’ ছিল কিন্তু ইউক্রেনের বাহিনীর ‘গোলাবারুদ ফুরিয়ে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘হয় তাদের কাছে এখন রাশিয়ানদের থামানোর জন্য অস্ত্র থাকতে হবে, নয়তো এই এলাকায় ইউক্রেনকে তাদের অভিযান থেকে বিরত থাকতে হবে। আমি মনে করি তাদের এই অস্ত্রের প্রয়োজন ছিল।
শুক্রবার ঘোষিত এই নতুন সামরিক সহায়তা প্যাকেজের ক্লাস্টার বোমার উল্লেখ করে পেন্টাগন এক বিবৃতিতে বলেছে, এটি ‘দ্বৈত-উদ্দেশ্য উন্নত প্রচলিত যুদ্ধাস্ত্র (ডিপিআইসিএম, আর্টিলারি বা ভূমি থেকে ভূমিতে ব্যবহারের মিসাইল ওয়্যারহেড)।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ‘অত্যাধিক প্রয়োজনীয়’ সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে টুইটে বলেছেন, ‘ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা সক্ষমতার সম্প্রসারণ আমাদের ভূমি দখলমুক্ত করতে এবং শান্তিকে আরও কাছাকাছি আনতে একটি নতুন উপাদান হিসেবে কাজ করবে।’
মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান এই সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছেন, ‘ ইউক্রেনের পর্যাপ্ত আর্টিলারি না থাকায় যদি রাশিয়ান সৈন্য ও ট্যাঙ্ক ইউক্রেনের অবস্থানের উপর দিয়ে চলে যায় এবং আরো ইউক্রেনীয় অঞ্চল দখল করে তাহলে বেসামরিক ক্ষতির ব্যাপক ঝুঁকি থাকে।’
কিয়েভ ‘লিখিত আশ্বাস দিয়েছে অত্যন্ত সতর্কতার সাথে এগুলো ব্যবহার করবে’ এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইউক্রেনের সরকার বলেছে ‘বেসামরিক নাগরিকদের ঝুঁকি কমানোর জন্য সমস্ত প্রণোদনা রয়েছে, কারণ এই জনগণ তাদের নাগরিক।’
মার্কিন প্রতিরক্ষা বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি কলিন কাহল বলেছেন, ইউক্রেন প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তারা বেসামরিক জনবহুল এলাকায় এগুলো ব্যবহার করবে না এবং তারা কোথায় সেগুলো ব্যবহার করবে তার রেকর্ড রাখবে এবং যুদ্ধের পরে সেগুলো নিষ্ক্রিয় করবে।