বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আর্মি সার্ভিস কোরের ৭ম ‘কর্নেল কমান্ড্যান্ট’ হিসেবে আজ রোববার (৫ নভেম্বর) অভিষিক্ত হলেন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, এসজিপি, পিএসসি। জাহানাবাদ সেনানিবাসে অবস্থিত আর্মি সার্ভিস কোর সেন্টার এন্ড স্কুলের প্যারেড গ্রাউন্ডে সামরিক রীতি ও ঐতিহ্য মেনে এ অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। অভিষেক অনুষ্ঠানে আর্মি সার্ভিস কোরের জ্যেষ্ঠতম অধিনায়ক এবং মাষ্টার ওয়ারেন্ট অফিসার সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারকে গৌরবমন্ডিত ‘কর্নেল কমান্ড্যান্ট র্যাংক-ব্যাজ’ পরিয়ে দেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে নবনিযুক্ত কর্নেল কমান্ড্যান্ট প্যারেড স্কয়ারে পৌঁছালে তাকে আনুষ্ঠানিক অভিবাদন জানানো হয় এবং আর্মি সার্ভিস কোরের একটি চৌকস দল তাঁকে ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করে। এর মধ্য দিয়ে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার ‘কর্নেল কমান্ড্যান্ট’ হিসেবে ঐতিহ্যবাহী সামরিক রীতি অনুযায়ী আর্মি সার্ভিস কোরের অভিভাবকের দায়িত্ব গ্রহণ করলেন। অনুষ্ঠানে নবনিযুক্ত কর্নেল কমান্ড্যান্ট উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন। বক্তব্যের শুরুতেই তিনি স্বাধীনতার মহান স্থপতি এবং সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। একই সাথে তিনি স্মরণ করেন মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গ আর্মি সার্ভিস কোরের বীর সেনানীসহ সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের।
এ সময় তিনি সেনাবাহিনীর রীতি-নীতির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে দৃঢ়তা, পেশাগত দক্ষতা এবং সর্বোপরি দলগত প্রচেষ্টার মাধ্যমে দেশ ও জাতি গঠনে যেকোন দায়িত্ব পালনে আর্মি সার্ভিস কোরের সকল সদস্যদের নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার জন্য দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।
এছাড়াও নবনিযুক্ত কর্নেল কমান্ড্যান্ট হিসেবে তিনি জাহানাবাদ সেনানিবাসে শহিদদের সম্মানে নির্মিত ‘সংশপ্তক’ এ পুষ্পস্তবক অর্পন এবং বৃক্ষরোপণ করেন।
অনুষ্ঠানে ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ, অন্যান্য অফিসার, জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার, অন্যান্য পদবির সেনাসদস্য এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।