পল্টন থানার পুলিশ হত্যা মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান হারুন অর রশীদ।
এর আগে মধ্যরাতে গুলশান ৮১ নম্বর রোডের নিজ বাসা থেকে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার এক বার্তায় জানিয়েছেন, গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে তুলে নিয়ে গেছেন।
জানা যায়, আমীর খসরুকে গ্রেপ্তারে বৃহস্পতিবার তার গুলশানের বাসা ঘিরে ফেলে ডিবি। এরপর তাকে ভেতর থেকে নিয়ে আসা হয়। পরে রাত ১টা ১৫ মিনিটে আমীর খসরুকে একটি সাদা মাইক্রোবাসে ডিবিতে নেওয়া হয়।
গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও সহিংসতার ঘটনায় দলটির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মোট ৩৬টি মামলা দায়ের হয়েছে। এসব মামলার এজাহারনামীয় আসামি রয়েছেন ১ হাজার ৫৪৪ জন। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলাসহ ঢাকা শহরে নাশকতার মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আসামি করা হয়েছে।
খসরু ছাড়াও প্রধান বিচারপতির বাসায় হামলায় আসামির তালিকায় রয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপি সিনিয়র নেতা মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, রুহুল কবির রিজভী, আবদুল আউয়াল মিন্টু, বরকতউল্লা বুলু, জয়নুল আবদিন ফারুক, জয়নাল আবেদীন, আহমেদ আজম খান, নিতাই রায় চৌধুরী, শামসুজ্জামান, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, শাহজাহান ওমর, মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ আরও অনেকে।
গত শনিবার (২৮ অক্টোবর) সরকার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে রাজধানীর নয়াপল্টনে মহাসমাবেশ ডাকে বিএনপি। ওই দিন এর পাল্টা কর্মসূচি হিসেবে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে ‘শান্তি ও উন্নয়ন’ সমাবেশ ডাকে আওয়ামী লীগ।