আমতলী পৌর লেকের বিভিন্ন প্রজাতির মাছ মরে ভেসে উঠছে। এতে পঁচা দুর্গন্ধে মারাত্মক পরিবেশ দুষিত হচ্ছে। লেকের পাশে বসবাসরত পরিবারগুলোর পানি ব্যবহার ও সড়কে চলাচলরত মানুষের চলাচল অনুপোযোগী হয়ে পরেছে। দ্রুত লেকের পঁচা মাছ অপসারণ করে পারি ব্যবহার ও বসবাসের উপযোগী করার দাবী ভুক্তভোগীদের।
জানাগেছে, আমতলী পৌর শহরের মধ্যখানে অবস্থিত ৩০ একর বিস্তৃত পৌর লেক। এ লেকের চারপাশে হাজারো পরিবার বসবাস করছে। তারা এ লেকের পানি গোসল ও গৃহস্থালি কাজে ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু গত পাঁচদিন ধরে অজ্ঞাত কারনে লেকের বিভিন্ন প্রজাতির মাছ মরে ভেসে উঠছে। ওই মাছ পঁচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এ মরা মাছ অপসারণে লেক ইজারাদার মিরন খাঁন উদ্যোগে নিচ্ছে না। ফলে লেকের পাশে বসবাসরত পরিবারগুলো ও সড়কের চলাচলরত মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। মানুষ নাক চেপে চলাচল করছে। দ্রুত লেক থেকে পঁচা মাছ অপসারণের দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
লেকের পাশে বসবাসরত বাসিন্দা নাজমুল ইসলাম, শাওন খান ও সামসুন্নাহার মুকুল বলেন,মাছ পঁচা দুর্গন্ধে বসবাস করা খুবই কষ্টকর। লেকের পানি গোসল ও গৃহস্থালি কাজে ব্যবহার করতে পারছি না। দ্রুত লেকের পঁচা মাছ অপসারণ করে পরিবেশ দুষণ রোধের দাবী জানাই।
আমতলী পৌর লেক ইজারাদার মিরন খাঁন বলেন, লেকের পাড়ের বসবাসরত পরিবারগুলো তাদের গৃহস্থালি বর্জ্য লেকের ভিতরে ফেলায় পানিতে গ্যাস হয়ে মাছ মারা যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, পৌর শহরের অনেক ড্রেনের বর্জ্যও এ লেকের ফেলা হচ্ছে। এতে আমার অন্তত পাচ লক্ষ টাকা মাছ মারা গেছে। আমি এ নিয়ে মহাবিপাকে আছি।
আমতলী উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা হালিমা সরদার বলেন, দ্রুত ওই লেক পরিদর্শন করে মাছ মারা যাওয়ার রহস্য উদগাটনে চেষ্টা করবো।
আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান বলেন, বরগুনা জেলা প্রশাসকের সাথে আলোচনা করে দ্রুত লেক থেকে পঁচা মাছ অপসারণ করে লেকের পানি ব্যবহার উপযোগী করে দেয়া হবে।