আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গত চার মাস ধরে বিচারক নেই। এতে ভোগান্তিতে পরেছে আদালতে মামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত অন্তত ১৫ হাজার মানুষ। দ্রুত আদালতের বিচারক দেয়ার দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
জানাগেছে, আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২ হাজার ৭’শ মামলা চলমান রয়েছে। আমতলী ও তালতলী উপজেলার অন্তত ১৫ হাজার মানুষ ওই মামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছে। গত বছর ১২ সেপ্টেম্বর আদালতের বিচারক মোঃ আরিফুর রহমানকে বদলী করা হয়। এরপর থেকে আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারক পদ খালী রয়েছে। বরগুনা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কর্মরত বিচারক মোঃ রাকিবুল হাসান সপ্তাহে দুইদিন আমতলী আদালতের মামলা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এতে মামলা কার্যক্রমে বেশ বিড়াম্বনার শিকার হচ্ছে। ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে আদালতের মামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত অন্তত ১৫ হাজার মানুষের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মামলার কয়েকজন আসামী বলেন, গত চার মাস ধরে আদালতে বিচারক নেই। এতে বেশ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। দ্রুত আদালতে বিচারক দেয়ার দাবী জানান তিনি।
আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের তরুণ আইনজীবি সৈয়দ নুহু-উল আলম নবীন বলেন, গত চার মাস ধরে আদালতে নিয়মিত বিচারক নেই। বরগুনা থেকে বিচারক এতে সপ্তাহে দুইদিন আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এতে মক্কেলদের বেশ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
আমতলী বার অফিসের সভাপতি অ্যাডভোকেট মহসিন মিয়া বলেন, আদালতে বিচারক না থাকায় মামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত অন্তত ১৫ হাজার মানুষের বিচার ব্যবস্থায় সমস্যা হচ্ছে। বিচার কার্যক্রম তরান্ত্রিত করতে দ্রুত আদালতে বিচারক দেয়ার দাবী জানান তিনি।
মোঃ হোসাইন আলী কাজী