রবিবার, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আমতলীর গুলিশাখালী ইউপি চেয়ারম্যান মনিরের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি অ্যাড. এইচএম মনিরুল ইসলাম মনির বিরুদ্ধে অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসস্থান কর্মসুচী (ইজিপিপি) প্রকল্পের কাজ নীতিমালা অনুসারে না করে অবসরপ্রাপ্ত সরকারী চাকুরীজীবি, তার আত্মীয় স্বজন ও স্বচ্ছল ব্যাক্তির নামের তালিকা করে নামমাত্র কাজ করে ৬৬ লক্ষ ৭২ হাজার টাকা আত্মসাতের করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ওই ইউনিয়নের কলাগাছিয়া গ্রামের গাজী মোতালেব আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলমের কাছে অভিযোগ করেছেন। ইউএনও মঙ্গলবার অভিযোগ আমলে নিয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ জামাল হোসাইনকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

জানাগেছে, উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস গুলিশাখালী ইউনিয়ন পরিষদের হতদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসুচী (ইজিপিপি) দুই প্রকল্পে ৬৬ লক্ষ ৭২ হাজার টাকায় কাজ দেয়। নীতিমালায় উল্লেখ আছে, দুই প্রকল্পে ১৩৯ জন হতদরিদ্রদের তালিকা করে ওই তালিকার শ্রমিক দিয়ে কাজ সমাপ্ত করতে হবে এবং শ্রমিকদের মোবাইলের মাধ্যমে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস কাজের টাকা পরিশোধ করবেন। অভিযোগ রয়েছে চেয়ারম্যান অ্যাড,এইচএম মনিরুল ইসলাম মনি নীতিমালা অনুসারন না করে তার আত্মীয় স্বজন, অবসরপ্রাপ্ত সরকারী চাকুরীজীবি ও স্বচ্ছল ব্যাক্তিদের তালিকা করে নামমাত্র কাজ করে মোবাইল সিম নিজের কাছে রেখে টাকা উত্তোলন করে সমুদয় টাকা আত্মসাৎ করেছেন। কাজে অনিয়ম ও টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে চেয়ারম্যান মনির বিরুদ্ধে একই ইউনিয়নের কলাগাছিয়া গ্রামের গাজী মোতালেব আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলমের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ইউএনও মঙ্গলবার অভিযোগ আমলে নিয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ জামাল হোসাইনকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

খোজ নিয়ে জানাগেছে, প্রকল্পের কাজের তালিকায় শ্রমিক হিসেবে যাদের নাম রয়েছে তাদের অধিকাংশই অবসরপ্রাপ্ত চাকুরীজীবি, চেয়ারম্যানের আত্মীয়স্বজন ও স্বচ্ছল ব্যাক্তি।
তালিকায় অর্šÍভুক্ত শ্রমিক অবসরপ্রাপ্ত সেনাবাহিনী সদস্য মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন, হতদরিদ্র তালিকায় আমার নাম কেন থাকবে? আমি এ কাজের বিষয়ে কিছুই জানিনা এবং টাকাও উত্তোলন করিনি।

তালিকায় অর্ন্তভুক্ত কবির প্যাদা বলেন, আমি কাজের বিষয়ে কিছুই জানিনা। আর হতদরিদ্র তালিকায় আমার নাম দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। আমি কোন টাকাও নেইনি।

গুলিশাখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাড, এইচএম মনিরুল ইসলাম মনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমুলক অভিযোগ দেয়া হয়েছে। আমি নীতিমালা অনুসারে শ্রমিক দিয়ে সঠিক মত কাজ করেছি।

আমতলী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ জামাল হোসাইন বলেন, ইউএনও স্যার গুলিশাখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এইচএম মনিরুল ইসলাম মনির বিরুদ্ধে দেয়া অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। দ্রুতই তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়া হবে।

আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, গুলিশাখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ

সর্বশেষঃ