যাত্রী সেজে হৃদয় মুসুল্লী ও তার সহযোগীরা মোটর সাইকেল চালক মোঃ রুবেল গাজীকে মারধর করে ত্রিশ হাজার টাকা ও মোবাইল ছিনতাই করে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মোটর সাইকেল চালক এমন অভিযোগ করেন। আহত মোটর সাইকেল চালককে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। ঘটনা ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাতে আমতলী উপজেলার রামজি নামক স্থানে।
জানাগেছে, উপজেলার উত্তর তক্তাবুনিয়া গ্রামের হারুন গাজীর ছেলে মোটর সাইকেল চালক রুবেল গাজী বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে আমতলী পৌর শহরের বটতলা স্ট্যান্ডে অবস্থান করছিল। ওইস্থানে রামজি গ্রামের হারুন মুসুল্লীর ছেলে হৃদয় মুসুল্লী বাড়ী যাওয়ার কথা বলে রুবেলের মোটর সাইকেল ভাড়া করে। গাড়ীতে উঠেই হৃদয় বাড়ীতে কথা বলার কথা বলে মোটর সাইকেল চালক রুবেলের মুঠোফোন নেয়। ওই মুঠোফোন দিয়ে তার সহযোগীদের সাথে কথা বলে। রামজি পৌছার পুর্বেই সড়কের পাশে ওত পেতে থাকা মুখোশধারী তিনজন মোটর সাইকেলের গতিরোধ করে। পরে চারজনে মিলে মোটর সাইকেল চালককে বেধরক মারধর করে এবং তার সাথে থাকা ত্রিশ হাজার টাকা ও দুটি মোবাইল ফোন ছিনতাই করে নিয়ে যায়। মোটর সাইকেল চালকের ডাকচিৎকারে লোকজন ছুটে আসলে ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা মোটর সাইকেল চালক রুবেলকে উদ্ধার করে ওই রাতেই আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে।
আহত মোটর সাইকেল চালক মোঃ রুবেল গাজী বলেন, ভাবী রিনা বেগমের দেয়া ত্রিশ হাজার টাকা নিয়ে বাড়ি আসতেছিলাম। বটতলা মোটর সাইকেল ষ্ট্যান্টে আসলে হৃদয় বাড়ী যাওয়ার কথা বলে আমার মোটর সাইকেলে ওঠে। কিছুদুর গিয়ে বাড়ী কথা বলার কথা বলে আমার মোবাইল ফোন নেয়। আমার মোবাইল ফোন দিয়ে তার সহযোগীদের সাথে কথা বলে হৃদয়। রামজি পৌছার আগেই পথিমধ্যে ওতপেতে থাকা তিন ছিনতাইকারী আমার মোটর সাইকেলের গতি রোধ করে চাবি নিয়ে যায়। পরে আমাকে হৃদয় ও ফরিদ মুসুল্লীসহ চারজনে মিলে বেধরক মারধর করে আমার সাথে থাকা ত্রিশ হাজার টাকা ও দুটি মোবাইল ফোন নিয়ে গেছে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ তন্ময় রহমান বলেন, রুবেল গাজীর শরীরে আঘাতের চিহৃ আছে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
আমতলী থানার ওসি একেএম মিজানুর রহমান বলেন, কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরো বলেন, খোজ খবর নিতে হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়েছি।