মোবাইলে অ্যাকশন মুভি দেখে মানষিক প্রতিবন্ধি আবু রায়হান (২২) নিজের পেটে নিজেই ছুরিকাঘাত করেছেন। স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। ঘটনা ঘটেছে আমতলী উপজেলার উত্তর টিয়াখালী গ্রামে সোমবার সকালে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানাগেছে, উপজেলার উত্তর টিয়াখালী গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য মৃত্যু তাজুল ইসলামের ছেলে আবু রায়হান জন্ম থেকে মানষিক প্রতিবন্ধি। ২০০৭ সালে ৩ বছর বয়সে মা রেশমা বেগম মারা যায়। ওই সময় থেকে আবু রায়হান মামা জিহাদ হাওলাদার ও মামি ঝড়না বেগম লালন পালন করে আসছেন। ২০২০ সালে বাবা তাজুল ইসলামও মারা যান। মা-বাবাকে হারিয়ে একেবারে এতিম হয়ে যায় আবু রায়হান। কিন্তু মামা ও মামি মা ও বাবাকে হারানোর কষ্ট বুঝতে দেয়নি। মামী ঝড়না বেগমের দাবী বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই আবু রায়হান মোবাইলে আসক্ত হন। মোবাইল ছাড়া কিছুই বোঝে না। মোবাইল নিয়েই সারা দিন কাটে। ওই মোবাইলে রায়হান অ্যাকশন মুভি দেখে সময় কাটায়। অনেক বার বারণ করা সত্ত্বেও শুনেনি। সোমবার সকালের খাবার খেয়ে ঘরে অ্যাকশন মুভি দেখছিল। ওই সময় তিনি নিজের পেটে নিজেই ছুরিকাঘাত করেন। এতে সে গুরুতর জখম হয়। তাৎক্ষনিক মামা ও মামি তাকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। ওই হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ অমিত তাকে চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি দিয়েছেন।
মামি ঝড়না বেগম বলেন, আবু রায়হান জন্ম থেকেই মানষিক প্রতিবন্ধি। কথা বলতে পারেনা ও কানেও শোনে না। গত ১৮ বছর ধরে আমিই লালন পালন করে আসছি। সোমবার সকালে খাবার খেয়ে ঘরে মোবাইলে অ্যাকশন মুভি দেখতেছিল। ওই ছবি দেখে নিজেই নিজের পেটে ছুরি ঢুকিয়ে দেয়। পরে ডাকচিৎকার শুনে তাকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে ভর্তি করেছি।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ চিন্ময় হাওলাদার বলেন, প্রতিবন্ধি আবু রায়হানকে যথাযথ চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আমতলী থানার ওসি মোঃ আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। খোজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।