আমতলী-পটুয়াখালী মহাসড়কের ঘটখালী নামক স্থানে মোটর সাইকেল থাকিয়ে চালক নাশির প্যাদাকে রুবেল মিয়া তুলে নিয়ে অমানষিক নির্যাতন করে তিন লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত মোটর সাইকেল চালক নাশির প্যাদা মঙ্গলবার বিকেলে এমন অভিযোগ করেছেন। পরে তাকে রাস্তার পাশে তারা ফেলে রাখে। ৯৯৯ খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে সোমবার রাতে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। মঙ্গলবার বিকেলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে সোমবার বিকেলে।
জানাগেছে, আমতলী উপজেলার দক্ষিণ আমতলী গ্রামের মোটর সাইকেল চালক নাশির প্যাদা পটুয়াখালী থেকে তিন লাখ টাকা নিয়ে বাড়ী ফিরছিল। পথিমধ্যে আমতলী-পটুয়াখালী মহাসড়কের ঘটখালী নামক স্থানে তার পরিচিত রুবেল মিয়া ইশারা দিয়ে মোটর সাইকেল থাকায়। পরে তাকে ৫-৬ জন লোকে তুলে আদা কিলোমিটার দুরে নিয়ে যায়। ওইখানে নিয়ে তাকে বেধরক পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। তাদের নির্যাতনে নাশির জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে তাকে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে তার সঙ্গে ব্যাগে থাকা তিন লাল টাকা ও দুইটি মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। সোমবার সন্ধ্যায় স্থানীয়রা দেখে ৯৯৯ ফোন দেয়। খবর পেয়ে আমতলী থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে ওইদিন রাতে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। মঙ্গলবার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার পরপর রুবেল মিয়াসহ তার সহযোগীরা পলাতক রয়েছে।
মোটর সাইকেল চালক নাশির প্যাদা বলেন, সোমবার দুপুরে আমি বড় ভাইয়ের দেয়া তিন লাখ টাকা নিয়ে পটুয়াখালী থেকে আমতলী আসতেছিলাম। পথিমধ্যে ঘটখালী নামক স্থানে আমার পরিচিত রুবেল মিয়া ইশারা দেয়। আমি মোটর সাইকেল থামানো মাত্রই আমাকে ৫-৬ জনে ধরে মহাসড়ক থেকে আধা কিলোমিটার দুরে নিয়ে যায়। ওই স্থানে নিয়ে আমাকে অমানষিক নির্যাতন করেছে। পরে তারা আমার সাথে থাকা তিন লাখ টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। তাদের অমানষিক নির্যাতনে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছি। আমি রুবেল মিয়াসহ তাদের সহযোগীদের শাস্তি দাবী করছি।
মঙ্গলবার বিকেলে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে সরেজমিনে দেখাগেছে, নাশির প্যাদা হাসপাতালের বিছানায় যন্ত্রনায় ছটফট করছেন। তার শরীরের ২০-২৫ স্থানে রক্তাক্ত জখমের চিহৃ রয়েছে। তিনি যন্ত্রনায় নড়াচড়া করতে পারেন না।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ রাশেদ মাহমুদ রোকনুজ্জামান বলেন, নাশির প্যাদার শরীরের একাধিক স্থানে রক্তাক্ত জখমের চিহৃ রয়েছে। তাকে অমানষিক নির্যাতন করা হয়েছে। তাকে যথাযথ চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আমতলী থানার ওসি মোঃ আরিফুর রহমান আরিফ বলেন, ৯৯৯ খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।