বরগুনার আমতলীতে এ বছর বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারে ধানের দাম কম থাকায় দুচিন্তায় কৃষকরা। কৃষকরা বলেন, বাজারে ধানের দাম কম থাকায় লোকসানের সম্ভাবনা রয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসার সিএম রেজাউল করিম বলেন, বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারে ধানের দাম ভালো হলে কৃষকরা লাভবান হবে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাগেছে, এ বছর আমতলীতে বোরো ধান চাষের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩ হাজার হেক্টর। ওই লক্ষ মাত্রা অর্জিত হয়েছে। বোরো ধান চাষের উপযুক্ত সময় মধ্য কার্তিক থেকে শুরু করে ফাল্গুন মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত। বীজতলা থেকে শুরু করে পাঁচ মাসের মধ্যে উচ্চ ফলনশীল বোরো ধানের ফলন আসে। এ বছর অনাবৃষ্টির কারনে সেচ দিয়ে কৃষককের খরচ বেশী হয়েছে। উচ্চ ফলনশীল জাতের বিরি-২৮, বিরি-২৯,বিরি-৪৭ ও বিরি-৬৭, বিরি-৭৪, বিরি-৮৮ ও হাইব্রীড এসএল-৮ এবং ইস্পাহানী-২ ধান চাষ করছেন কৃষকরা। বর্তমানে কৃষকরা ধান কাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। বাজারে ধানের কম। শুরুতেই বাজারে প্রতিমণ ধান ৮৫০থেকে ৯৭০ টাকা বিক্রি হয়েছে। বর্তমান বাজারে চিকন ধান ৯০০ থেকে ৯৭০ টাকা এবং মোটা ধান ৮০০ টাকা থেকে ৮৫০ মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে ধানের কম থাকায় এ বছর লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
বুধবার সরেজমিনে ঘুরে দেখাগেছে, উপজেলার কুকুয়া, হলদিয়া, চাওড়া, আমতলী সদর ও আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে বোরো ধান কাটায় ব্যস্ত সময় পাড় করছে কৃষকরা।
কাউনিয়া গ্রামে কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, ২০ হাজার টাকা ব্যয়ে ৮০ শতাংশ জমিতে রোবো চাষ করেনি। ফলন ভালো হয়েছে কিন্তু বাজারে ধানের কম। লাভতো দুরের কথা খরচই উঠবে না।
ঘোপখালী গ্রামের আফজাল শরীফ বলেন, এ বছর বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে এবং বাজারে ধানের কম।
উত্তর তক্তাবুনিয়া গ্রামের আরিফ মৃধা বলেন, ৬৫ হাজার টাকা খরচ করে তিন একর জমিতে বোরো ধান চাষ করেছি। ফলন ভালো হয়েছে। কিন্তু ধানের দাম কম থাকায় বেশ দুচিন্তায় আছি।
আমতলী উপজেলা আড়ৎদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাকির হোসেন বলেন, বাজারে মোটা ও চিকন দুই ধরনের ধান রয়েছে। চিকন ৯০০ থেকে ৯৭০ টাকা এবং মোটা ধান ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা মণ ধরে বিক্রি হচ্ছে।
আমতলী উপজেলা কৃষি অফিসার সিএম রেজাউল করিম বলেন, বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে চাষিরা বোরো ধান চাষে আগ্রহী হবে।