আমতলী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব তুহিন মৃধা ও উপজেলা যুবদল ১ নং সদস্য সাবেক কাউন্সিলর সামসুল হক চৌকিদারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজী, জমি দখল, সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
রোববার বিকেল ৩ টায় উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ে এ সকল অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মোঃ জহিরুল ইসলাম মামুন ভিপি। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বিএনপির ভাবমুর্তি রক্ষায় সদস্য সচিব তুহিন মৃধার বহিস্কার দাবী করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক জহিরুল ইসলাম মামুন বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব তুহিন মৃধা ও যুবদল আহবায়ক কমিটির ১নং সদস্য সাবেক কাউন্সিলর সামসুল হক চৌকিদার এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন। এলাকায় চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী, জমি দখলসহ নানা অপরাধে তারা জড়িত। তাদের অত্যাচারে উপজেলার মানুষ অতিষ্ট। তারা একের পর এক সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। গত ৮ ফ্রেব্রুয়ারী বাসস্ট্যান্ড কাউন্টার ও সিএনজি স্ট্যান্ড দখল করতে গিয়ে সাবেক উপজেলা বিএনপির সভাপতি জালাল ফকিরের দুই ছেলে রাহাত ফকির ও ফরহাদ ফকিরসহ ৭ জনকে কুপিয়ে গুরুতর জথম করেছে। তারা এখন চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন।
তিনি আরো বলেন, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব তুহিন মৃধার চাচাতো ভাই মোতাহার উদ্দিন মৃধা। তিনি উপজেলা আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি। তার এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে তুহিন মৃধা ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছেন। দলীয় ভাবমুর্তি রক্ষায় তুহিন মৃধা ও সামসুল হক চৌকিদারকে দল থেকে বহিস্কারের দাবী জানান তিনি। গত ৫ আগষ্টের পরে তুহিন মৃধা উপজেলা বিএনপির একটি অংশকে ব্যবহার করে দলের মধ্যে কোন্দল সৃষ্টি করে দ্বিধাবিভক্ত করে রেখেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত পৌর বিএনপির আহবায়ক কবির উদ্দিন ফকির বলেন, দলীয় পদ পদবী ব্যবহার করে তুহিন মৃধা ও সামসুল হক চৌকিদার দলের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করে দলকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে। তাদের কারনে আমতলী উপজেলা বিএনপির দ্বন্ধ প্রকাশ্যে রুপ নিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন পৌর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মিল্টন বিশ্বাস, জামাল খাঁন, রুহুল আমিন টিপু, উপজেলা যুবদল যুগ্ম আহবায়ক মাঈনুদ্দিন মামুন, আবু সাইদ জুবায়েরী, আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়ন যুবদল আহবায়ক জালাল হাওলাদার, সদস্য সচিব হাসিব হাওলাদার, বরগুনা জেলা যুবদল সহ-সম্পাদক নিজাম উদ্দিন ও হলদিয়া ইউনিয়ন যুবদল যুগ্ম আহবায়ক সফিউল্লাহ ও সদস্য সচিব আরিফ গাজী।
আমতলী উপজেলা যুবদল আহবায়ক কমিটির ১ নং সদস্য সাবেক কাউন্সিলর সামসুল হক চৌকিদার বলেন, গতকাল আমাকে যুবদল আহবায়ক কবির ফকিরের নেতৃত্বে তার লালিত সন্ত্রাসীরা আমাকেসহ ১০ জনকে কুপিয়ে জখম করেছে। ওই ঘটনা ধামাচাপা দিতে আমার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলছে।
আমতলী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব তুহিন মৃধা সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, নিজেদের অপকর্ম ম্লান করতে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তাদের অনৈতিক কর্মকান্ড আমতলীবাসী সকলেই অবগত।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল বিভাগ) আকন কুদ্দুসুর রহমান বলেন, আমতলীর বিষয়ে আমি অবগত আছি। তদন্ত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।