মঙ্গলবার, ৮ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আমতলীতে বাইপাস রাস্তা সংস্কারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত ১০

আমড়াগাছিয়া গ্রামের গুদির খালের স্লুইজের নির্মাণের বাইপাস সড়ক সংস্কারকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশী ওমর আলী চৌকিদার ও মনির প্যাদার মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত আটজনকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে সোমবার রাতে আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের সাহেববাড়ী স্ট্যান্ডে।


জানাগেছে, আমতলী উপজেলার আমড়াগাছিয়া গ্রামের গুদির খালে স্লুইজ নির্মাণ কাজ চলছে। স্থানীয়দের চলাচলের জন্য ঠিকাদার বাদশা মিয়া বাইপাশ রাস্তা নির্মাণ করে দেন। বৃষ্টিতে ওই বাইপাস রাস্তা চলাচল অনুপোযোগী হয়ে পরেছে। গত জুন মাসের মাঝামাঝি সময় স্থানীয় জাহাঙ্গির মৃধা, আব্বাস মৃধা ও ওমর আলী চৌকিদার ঠিকাদার বাদশাকে বাইপাস রাস্তা মানুষের চলাচলের উপযোগী করতে পরামর্শ দেন। কিন্তু বৃষ্টির কারনে ওই রাস্তা সংস্কার করতে পারেনি ঠিকাদার। ওই কদমাক্ত পথে চলাচল নিয়ে গত শনিবার ওমর আলী চৌকিদারের সঙ্গে প্রতিবেশী মনির প্যাদার কথা কথাকাটি হয়। এর জের ধরে ওইদিন দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। উভয় পক্ষ ওইদিন রাতে আমতলী থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়। এ নিয়ে সোমবার রাতে শালিস বৈঠকে বসার সিন্ধান্ত হয়। কিন্তু শালিস বৈঠকে বসার আগেই দুই পক্ষ পুনরায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। দফায় দফায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। ওই দিন রাত ১১ টার দিকে গুরুতর আহত কালাম দফাদার, মোসাদ্দেক হোসেন, হাবিবুল্লাহ, মাহবুব, ওমর আলী চৌকিদার, সুজন প্যাদা, সোহাগ প্যাদা ও মনির প্যাদাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপর আহত আব্বাস মৃধা ও আবু বকর স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।


প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, স্লুইজের বাইপাশ রাস্তা সংস্কারকে কেন্দ্র করে সোমবার রাতে কালাম দফাদারের ওপর প্রতিবেশী মনির প্যাদার লোকজনের হামলা করে। এর জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে বেশ কয়েকজন রক্তাক্ত জখম হয়েছে।


গ্রাম পুলিশ আবু কালাম বলেন, বাইপাস রাস্তা সংস্কারকে কেন্দ্র করে মনির প্যাদার লোকজন আমার ভাইকে মারধর করেছে। এ ঘটনার শালিস বৈঠকের বসার কথা ছিল। কিন্তু বৈঠকের বসার আগেই মনির প্যাদা, তার দুই ছেলে সোহাগ প্যাদা সুজন প্যাদাসহ তার লোকজন আমাকে ও আমার লোকজনের ওপর হামলা করেছে। এতে আমার পক্ষের সাতজন জখম হয়েছে।


মনির প্যাদা হামলার কথা অস্বীকার করে বলেন, উল্টো ওমর আলী চৌকিদারের লোকজন আমার লোকজনের ওপর হামলা করেছে। এতে আমি ও আমার দুই ছেলে গুরুতর জখম হয়েছি।


পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ আবু বকর বলেন, গুরুতর আহতদের যথাযথ চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।


আমতলী থানার ওসি মোঃ আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, এ বিষয়ে সোমবার রাতে স্থানীয়ভাবে শালিস বৈঠকে বসার কথা ছিল। কিন্তু শালিক বৈঠকের আগেই দুই পক্ষ আবারো সংর্ঘষে জড়িয়েছে। তিনি আরো বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ

সর্বশেষঃ