দ্বিতীয় শ্রেনীর ছাত্রীকে দাখিল পরীক্ষার্থী ইয়াসিন আরাফাত রুমান খাঁন ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই ছাত্রী এমন অভিযোগ করেছেন। ওই ছাত্রীকে স্বজনরা উদ্ধার করে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ছাত্রীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের ওয়ান-স্টাপ ক্রাইসিস সেন্টারে প্রেরণ করেছেন।
বুধবার ওই ছাত্রীর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে আমতলী উপজেলার মধ্য তারিকাটা গ্রামের আফতাব উদ্দিন কারিমিয়া আমজাদিয়া মাদ্রাসায় মঙ্গলবার দুপুরে।
জানাগেছে, উপজেলার তারিকাটা গ্রামের দ্বিতীয় শ্রেনীতে পড়ুয়া মাদ্রাসা ছাত্রী (৯) মঙ্গলবার সকালে আফতার উদ্দিন আফতাব উদ্দিন কারিমিয়া আমজাদিয়া মাদ্রাসায় যায়। ক্লাস শেষে ওই ছাত্রীকে শিক্ষক হুমায়ুন কবিরের ছোট ভাই দাখিল পরীক্ষার্থী ইয়াসিন আরাফাত রুমান অপেক্ষা করতে বলে। ছাত্রী অপেক্ষা করলে তাকে রুমান জোরপুর্বক ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ ওই ছাত্রীর। পরে ছাত্রী বিষয়টি তার মাকে জানায়। পরে শিশুটিকে তার মা ওইদিন সন্ধ্যায় আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ রাশেদ মাহমুদ রোকনুজ্জামান শিশুটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে প্রেরণ করেছেন। ওই রাতেই শিশুটিকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
খবর পেয়ে আমতলী থানা পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে ওই ছাত্রীর জবাববন্দি নিয়েছেন এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছে। রুমান খাঁন ওই মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠাতা হুমায়ুন কবিরের ছোট ভাই। তার বাবার নাম বশির খাঁন। এ ঘটনার পর থেকে আরাফাত রুমান খাঁন পলাতক রয়েছে। রুমান এ বছর মধ্য তারিকাটা দাখিল মাদ্রাসা থেকে দাখিল পরীক্ষার্থী।
ছাত্রীর অভিযোগ, মাদ্রাসা ছুটির পরে শিক্ষক হুমায়ুন কবিরের ছোট ভাই ইয়াসিন আরাফাত রুমান আমাকে ক্লাসরুমে বসতে বলে। পরে আমি ও আরো দুইটি মেয়ে বসেছিলাম। রুমান ওই শিশু দুটিকে দোকানে পাঠিয়ে দিয়ে আমাকে ধর্ষণ করেছে।
ছাত্রীর বাবা বলেন, আমার শিশু কন্যাকে রুমান খাঁন ধর্ষণ করেছে। আমি এ ঘটনায় তার শাস্তি দাবী করছি।
ইয়াসিন আরাফাত রুমানের চাচা রিয়াজ খাঁন বলেন, রুমানের ১০ এপ্রিল দাখিল পরীক্ষা। ওই পরীক্ষায় যাতে অংশ নিতে না পারে সে জন্য ষড়যন্ত্রমুলক ভাবে ফাঁসানো হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, রুমানের বাবা একজন বাক প্রতিবন্ধি।
বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ তাসফিয়া সিদ্দিক বলেন, ওই ছাত্রীকে হাসপাতালে যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে এবং নমুনা সংগ্রহ করেছি। মামলা হলে নমুনা পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেয়া হবে।
আমতলী থানার ওসি মোঃ আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, খবর পেয়ে হাসপাতাল ও ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে ঘটনা জেনেছি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।