পদ স্থগিত হওয়া বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মো. ফজলুর রহমান বলেছেন, আমার বয়স এখন ৭৮। নির্বাচনের সময় হবে ৭৯। এর ৫ বছর পরে বয়স হবে ৮৪ বা ৮৫। তাই আগামী নির্বাচনই হবে আমার শেষ নির্বাচন। আপনারা যদি সমর্থন দেন, এই শেষ নির্বাচনটা আমি করতে চাই।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কিশোরগঞ্জের হাওরের ইটনা উপজেলা সদরে আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধা-জনতার সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে দেশে নানা ষড়যন্ত্র চলছে। রাজাকার ও আলবদররা চেষ্টা করছে যাতে তিনি দল থেকে মনোনয়ন না পান। তারা ৫০০ কোটি টাকা খরচ করে হলেও চাইবে, আমি যেন দলের এমপি মনোনয়ন না পাই। কিন্তু আমার একার ইচ্ছা নয়, আপনাদেরও বলতে হবে-আমরা এই নেতা চাই। আমরা আমাদের পছন্দের প্রার্থীকে ধানের শীষ মার্কায় ভোট দিতে চাই।বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মো. ফজলুর রহমান আরও বলেন, জামায়াত বলছে-আমি ধর্ম মানি না। এটা তারা ছাড়া আর কেউ বলেনি। আমি ব্যক্তিগতভাবে সুফিবাদে বিশ্বাস করি। হযরত আব্দুল কাদির জিলানি, খাজা মাঈনুদ্দিন চিশতি, হযরত শাহজালাল ও শাহ পরান এই সুফি ধারার সমর্থক আমি। কিন্তু যারা সুফিবাদে বিশ্বাস করে, তাদের হত্যা করতে চায় জামায়াত। দেশবাসী দেখেছে তারা লাশ কবর থেকে তুলে পুড়িয়ে দিয়েছে।
আয়োজিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা রওশন আলী রুশো। সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন-বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার, নীহারেন্দু দেবনাথ, নবী হোসেন তজু মিয়া, ফজলুর রহমানের সহধর্মিনী অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম রেখা ও ছেলে ব্যারিস্টার অভীক রহমানসহ আরো অনেকেই।
সমাবেশে বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ হাজার হাজার নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ অংশ নেন। সভা শেষে সন্ধ্যার দিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মো. ফজলুর রহমানের নেতৃত্বে একটি বিশাল মিছিল ইটনা চৌরাস্তা থেকে শুরু হয়ে কলেজ মাঠে গিয়ে শেষ হয়।