জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের বলেছেন, চরম অব্যবস্থাপনার জন্য পুরো দেশ নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েছে। অব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ যেন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন।
বুধবার (৮ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
জি এম কাদের বলেন, বিস্ফোরক সংরক্ষণ করতে হলে লাইসেন্স থাকতে হয়। লাইসেন্স পেতে কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়। দুর্নীতি ও দলীয়করণের কারণে সব শর্ত পাশ কাটানো হচ্ছে। আমরা দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে একটি অস্বাভাবিক দেশ হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে। দেশে মানুষের কোনো নিরাপত্তা নেই। সড়কে, কর্মক্ষেত্রে, এমনকি ঘরেও নিরাপত্তা নেই। সম্পদের, ইজ্জতের, মানুষের জীবনেরও নিরাপত্তা নেই। বেঁচে থাকার জন্য মানুষ যেখানে নিরাপত্তা খোঁজে, সেখানেই করুণ মৃত্যু হচ্ছে। মোট কথায় বাংলাদেশ এখন একটি অনিরাপদ দেশ।
এ সময় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আরও বলেন, ২০২২ সালের ৪ জুন রাতে চট্টগ্রামের সিতাকুণ্ডে বি এম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে ৫০ জন নিহত হন। আহত হন অন্তত ৬০ জন। গত ৪ মার্চ শনিবার সিতাকুণ্ডে সিমা অক্সিজেন লিমিটেডের কারখানায় বিস্ফোরণে সাতজন নিহত হন। আহত হন অন্তত ৩০ জন। পর দিন ৫ মার্চ রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব এলাকায় একটি মার্কেটে বিস্ফোরণে তিনজন নিহত ও ২৫ জন আহত হন।
বুধবার (৭ মার্চ) সিদ্দিকবাজারের নর্থ সাউথ রোডের ভবনে বিস্ফোরণে অন্তত ১৭ জন নিহত হন। এ ছাড়া আহত হন আরও অনেকে। এখন দুর্ঘটনা যেন স্বাভাবিক ঘটনা।
বিস্ফোরণে নিহতদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত ও আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান জি এম কাদের।
তিনি বলেন, নিহত ও আহতদের পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। কার ব্যর্থতায় এবং কেন ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটছে, দেশবাসী তা জানতে চায়। ভবিষ্যতে এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনা আর হবে না, সরকারের কাছে আমরা এ নিশ্চয়তা চাই।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, প্রেসিডিয়াম সদস্য আলমগীর সিকদার লোটন, ভাইস-চেয়ারম্যান তারেক এ আদেল, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ফারুক আহমেদ, দপ্তর সম্পাদক-২ এম এ রাজ্জাক খান, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন দে, যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলমসহ জাতীয় পার্টির স্থানীয় নেতারা।