শুক্রবার, ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

অতি বর্ষণে আমতলীর জনজীবন বিপর্যস্ত

টানা অতি বর্ষণে আমতলী জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পরেছে। পানি নিস্কাশন না হওয়ায় ভয়াবহ জলাদ্ধতা দেখা দিয়েছে। পানিতে মাঠ থই থই করছে। তলিয়ে গেছে আমনের বীজতলা। চাষাবাদ প্রায় বন্ধ। দ্রুত পানি নিস্কাশন না হলে আমনের বীজতলা পচে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান কৃষকরা।

জানাগেছে, উপজেলায় ২৩ হাজার ৫’শ হেক্টর আমন ধান চাষ উপযুক্ত জমি রয়েছে। ধান চাষে এ জমির জন্য এক হাজার এক’শ ৭৫ হেক্টর আমনের বীজতলা তৈরি করেছেন কৃষকরা। টানা অতি বর্ষণে আমতলীর জনজীবন বিপযস্ত হয়ে পরেছে। পানিতে আমনের ক্ষেত থই থই করছে। তলিয়ে গেছে আমনের বীজতলা। জলকপাটগুলো দিয়ে পানি নিস্কাশন না হওয়ায় দেখা দিয়েছে উপজেলায় ভয়াবহ জলাবদ্ধতা। দ্রুত পানি নিস্কাশন না হলে আমনের বীজতলা পচে যাওয়ার আশংঙ্কা রয়েছে। দ্রুত জলাবদ্ধতা নিরসনে দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। এছাড়া অতিবর্ষণে কষ্টে দিনাতিপাত করছে শ্রমিক, দিন মজুর ও হতদরিদ্র মানুষগুলো।

খোজ নিয়ে জানাগেছে, উপজেলার গুলিশাখালী, কুকুয়া, আঠারোগাচিয়া, হলদিয়া, চাওড়া, আমতলী সদর ও আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের সকল আমনের ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। জলকপাটগুলো দিয়ে পানি নিস্কাশন না হওয়ায় ভয়াবহ জলাবন্ধতা দেখা দিয়েছে। এতে আমনের বীজতলায় পানি জমে আছে। কৃষকদের চাষাবাদ প্রায় বন্ধ রয়েছে।

অটো চালক সবুজ মিয়া বলেন, বৃষ্টিতে ঘর থেকে গাড়ী নিয়ে বের হতে পারছি না। খুবই কষ্টে দিন কাটাচ্ছি।

গুলিশাখালী ইউনিয়নের বাইনবুনিয়া গ্রামের ইব্রাহিম খলিল বলেন, খেকুয়ানী জলকপাট দিয়ে পর্যাপ্ত পানি নিস্কাসন না হওয়ায় ভয়াবহ জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। দ্রুত পানি নিস্কাশন না হলে কৃষকের আমনের বীজতলা পচে যাবে। তিনি আরো বলেন, কয়েকদিন আগে বীজতলা তৈরি করেছি তা পানির নীচে রয়েছে।

আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম সোনাখালী গ্রামের কৃষক সোহেল রানা বলেন, অতি বর্ষণে জলাবদ্ধতা দেয়া দেওয়ায় আমনের বীজতলা পানিতে তলিয়ে গেছে। জলাবদ্ধতার কারনে জমি চাষাবাদ করতে পারছি না।

হলদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া গ্রামের কৃষক শিবলী শরীফ বলেন, শুধু পানি আর পানি। চারিদিকে পানিতে থই থই করছে। বীজতলা পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে।

আমতলী উপজেলা কৃষি অফিসার সিএম রেজাউল করিম বলেন, টানা বর্ষণে জলাবন্ধতায় আমনের বীজতলা পানি নীচে তলিয়ে গেছে। এমন অবস্থায় আমনের বীজতলার বেশ ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি আরো বলেন, বৃষ্টি কমে গেলে ক্ষতি কম হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ

সর্বশেষঃ