রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোয় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধের দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন প্যাডেল চালিত রিকশার চালকরা। এ সময় ‘অবৈধ অটোরিকশা চলতে দেওয়া হবে না’, ‘বাংলাদেশে বৈষম্য মানি না মানবো না’সহ নানা স্লোগান দিতে থাকেন তারা।
আজ সোমবার (২৬ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে প্যাডেল চালিত রিকশা নিয়ে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন শত শত চালক। এতে মোড়ের চারপাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
বৃহত্তর ঢাকা সিটি করপোরেশন রিকশা মালিক ঐক্যজোটের ব্যানারে এ অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন রিকশাচালকরা। এ সময় তারা বেশ কিছু দাবি উত্থাপন করেন। তাদের দাবিগুলো হলো, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মতো ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন থেকে রিকশা মালিকরা নতুন লাইসেন্স প্রদান ও পুরাতন লাইসেন্স নবায়ন; সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে ও বৈধ লাইসেন্সধারী রিকশা পেশাজীবীদের স্বার্থে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন থেকে চালক লাইসেন্স প্রদান, অসুস্থ চালকদের শুক্রবার বিনামূল্যে মেডিক্যাল চিকিৎসা প্রদান, এবং ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের লাইসেন্সপ্রাপ্ত রিকশা পেশাজীবীদের ব্যবসায়িক ট্রেড লাইসেন্স প্রদান।
আন্দোলনের বিষয়ে অবরোধকারী রিকশাচালকরা বলেন, অটোরিকশার চালকরা যাত্রীদের কাছ থেকে ন্যায্য ভাড়া আদায় করে না। যেখানে ৫০ টাকা ভাড়া, সেখানে তারা ২০ টাকায় চলে যায়। তাদের কারণে প্যাডেল চালিত রিকশার চালকরা কোনও যাত্রী পান না।
রাজধানীর গোরান এলাকার বাসিন্দা প্যাডেল রিকশাচালক আব্দুর রউফ বলেন, সারা দিন রিকশা চালিয়ে আমরা যে টাকা কামাই করি, তা দিয়ে নিজেরাই চলতে পারি না। দিনশেষে হাতে কোনও টাকা থাকে না। পরিবারের জন্যও বাড়িতে কোনও টাকা পাঠাতে পারি না।
প্যাডেল রিকশার চালকরা বলেন, আগে বিভিন্ন এলাকার অলিগলিতে অটোরিকশা চলতো, এখন প্রধান সড়কে অটোরিকশা চলছে। প্রধান সড়কে অটোরিকশা ট্রাফিক আইন মেনে চলে না। এদের কারণে যানজট তৈরি হয়, দুর্ঘটনা ঘটে। ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরা বেশি আয়ের জন্য নিয়ম না মেনে ইচ্ছা মতো রিকশা চালায়।
এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন বলেন, চালকরা কিছু দাবি নিয়ে সড়কে দাঁড়িয়েছিলেন। কিছুক্ষণ অবস্থান করে পরে তারা চলে যান। বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। যানবাহনও স্বাভাবিকভাবে চলাচল করছে।