সম্প্রচার ও তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত আজ বলেছেন, গত ১৫ বছরে দেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন হল জনগণের দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপক পরিবর্তন কারণ, তারা এখন একসময়ের অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারে।
গুলশানে সংস্কারকৃত শহীদ ড. ফজলে রাব্বি পার্কের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ গত ১৫ বছরে অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছে। সবচেয়ে বড় উন্নয়ন হলো মানুষের মানসিকতার ব্যাপক পরিবর্তন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এখন বড় স্বপ্ন দেখতে পারি এবং আমাদের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে পারি। এ দৃষ্টিকোণ থেকে সরকার সফলভাবে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নের পর ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার নতুন রূপকল্প ঘোষণা করেছে।’
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) স্থাপত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. এসএম নাজমুল ইমাম।
এছাড়া ডিএনসিসির সংরক্ষিত ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আমেনা বেগম, নিকেতন সোসাইটির সভাপতি ডা. এম এ বাশার, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম, শহীদ ফজলে রাব্বির ছেলে ওমর রাব্বি ও ডিএনসিসির ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মফিজুর রহমান বক্তব্য রাখেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, একসময় দেশের অধিকাংশ মানুষ বিশ্বাস করতে পারত না যে সরকার দেশীয় তহবিল দিয়ে পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে পারবে কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার তা সম্ভব করেছে।
তিনি বলেন, ‘একসময় মানুষ বিশ্বাস করতে পারত না যে ১০০ শতাংশ বিদ্যুৎ কভারেজ নিশ্চিত করা যেতে পারে। মানুষ বিশ্বাস করতে পারত না যে মেট্রো-রেল সফলভাবে নির্মিত হতে পারবে। এগুলো এখন বাস্তবতা। যখন বড় কাজ করা হয়, এগুলো সাহস জোগায়, মানসিকতার পরিবর্তন ঘটায়।’
ফজলে রাব্বি পার্কের বিভিন্ন পরিবেশ-বান্ধব বিষয় বর্ণনা করে আরাফাত উদ্যানটিকে সুন্দরভাবে সংস্কার এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের শহীদের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শনের লক্ষ্যে শহীদ ডা. ফজলে রাব্বির নামে এর নাম রাখায় উদ্যোক্তাদের ধন্যবাদ জানান।
পরে ডিএনসিসি মেয়র ও প্রতিমন্ত্রী পার্ক প্রাঙ্গণে একটি ফলক উন্মোচন করে সংস্কারকৃত পার্কের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন এবং অন্য অতিথিদের নিয়ে পার্ক প্রদক্ষিণ করেন।