জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব স্মরণে আজ শুক্রবার বিকেল ৩টায় ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ৫ লক্ষাধিক নেতাকর্মী ও শিক্ষার্থীকে নিয়ে স্মরণকালের সর্ববৃহৎ ছাত্র সমাবেশ করতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সমাবেশে শিক্ষার্থী ও দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বার্তা দেবেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সমাবেশস্থল ঘুরে দেখা যায়, নৌকার আদলে সমাবেশের মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। মঞ্চের সামনে বিশেষ অতিথিদের বসার স্থান পর্যন্ত সামিয়ানা টানানো হয়েছে। বাকিটা খোলা মাঠ। বাঁশের বেড়া দিয়ে বিভিন্ন ইউনিটের বসার জন্য স্থান ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। ছাত্রলীগের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বসবেন। মঞ্চের সামনে ১৫শ চেয়ার রাখা হয়েছে, সেখানে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দ ও আমন্ত্রিত অতিথিরা বসবেন।
এদিকে ব্যাপক শিক্ষার্থীরা সমাগম ঘটাতে মাইকিং, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা ও লিফলেট বিতরণসহ স্ব স্ব ইউনিটকে ইতোমধ্যে নানা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বাদে ২৯৮ সদস্য বিশিষ্ট ১৮টি উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়াও কেন্দ্রীয় নেতাদের নেতৃত্বে ১২৭টি সমন্বয় টিম গঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সমাবেশস্থলে গিয়ে প্রস্তুতি পরিদর্শন করেন ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।
পরিদর্শন শেষে সাদ্দাম হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের প্রস্তুতি এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। এই ঐতিহাসিক ছাত্র সমাবেশের প্রস্তুতি গোটা বাংলাদেশের ৫৬ হাজার বর্গমাইল ছুঁয়ে গিয়েছে। বাংলাদেশের ৫ কোটি শিক্ষার্থীকে ছুঁয়ে গেছে। আমাদের স্বপ্নের নিরাপত্তার জন্য, দেশের নিরাপত্তার জন্য, আমাদের উন্নত ভবিষ্যতের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য এই ছাত্র সমাবেশে শিক্ষার্থীরা সামিল হবে। শুধু ছাত্রলীগের ৫ লাখ কর্মী অংশগ্রহণ ছাড়াও কয়েক লাখ সাধারণ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। আজ সমাবেশ রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি অবিশ্বাস্য পরিবর্তন নিয়ে আসবে। এই ছাত্র সমাবেশের মধ্যদিয়ে আমরা গোটা বাংলাদেশকে এই বার্তা দিতে চাই যে- আমরা যেমন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়, জাতির পিতার আদর্শে বলিয়ান থাকব, একইসঙ্গে আমরা খুনি, সন্ত্রাসী, জঙ্গিবাদীদের সাথে কম্প্রোমাইজ করার কোনো জায়গা ছাত্র সমাজে নেই।
সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, সারা বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা, তরুণসমাজ আজকে একটি সুরে, একটি নামে ঐক্যবদ্ধ। সেটি হচ্ছে উন্নত, আধুনিক, স্বনির্ভর, সমৃদ্ধ আগামীর বাংলাদেশ গড়ে তুলতে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প তাদের সামনে নেই। আজ সমাবেশে লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থীদের নিয়ে আমরা উন্মুক্তভাবে শপথ নিতে চাই দেশ বিরোধী যেকোনো অপশক্তির অপতৎপরতাকে রুখে দিতে এদেশের তারুণ্য সদা প্রস্তুত রয়েছে।