নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানার সাবেক ওসি মোর্শেদ আলম এবং সাবেক সেকেন্ড অফিসার এস আই সাধন বসাকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিজ্ঞ জজ আদালত নারায়ণগঞ্জ এর বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।
আদালত আগামী ১০ দিনের মধ্যে জবাব দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে। যার নং ১৬৩/১৮
মামলা সুত্রে জানা গেছে, ওই বছরের ৮ অক্টোবর রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের নগর সাদিপুর গ্রামের ওয়ালিউল্লাহর ছেলে জাহিদুল ইসলাম স্বপনের বাড়িতে হানা দেন সোনারগাঁ থানার ওসি মোর্শেদ আলম ও সেকেন্ড অফিসার এসআই সাধন বসাক। এ সময় স্বপনকে ঘুম থেকে উঠিয়ে পৌরসভা এলাকার চৌদানা মৌজায় থাকা তার ১৭২ শতাংশ জমির দখল ছেড়ে দিতে বসতঘরের জমি ছেড়ে দিতে বিভিন্ন হুমকী-ধমকী স্বপন পুলিশের কথার বিরোধীতা করলে তার স্ত্রী-সন্তানের হাত ও চোখ বেঁধে ধরে সোনারগাঁও থানায় নিয়ে যায়। পরে লকাপে রেখে ওসি এবং এসআই ব্যাপক নির্যাতন করে চৌদানা মৌজার ১৭২ শতাংশ জমির দখল ছেড়ে দিতে আবারো চাপ দেয়। এমনকি দখল ছেড়ে না দিলে ক্রসফায়ার করে জীবনে মেরে ফেলার হুমকিও দেয় তারা।
নির্যাতনের এক সময় স্বপন অসুস্থ হয়ে পরলে পুলিশ স্বপনকে মুমুর্ষবস্থায় সোনারগাঁও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরদিন সোনারগাঁও থানা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু ও পৌরসভা যুবলীগের সভাপতি আসাদ গিয়ে জাহিদুল ইসলাম স্বপনকে মারাত্মক অসুস্থ অবস্থায় মুচলেকা দিয়ে থানা থেকে নিয়ে আসে।
এ ঘটনায়, ২০১৮ সালের ১১ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার চিলারবাগ এলাকার মকবুল হোসেনের ছেলে আনিসুর রহমান আলমগীর বাদী হয়ে।