শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সেনাবাহিনীতে যুক্ত হলো শত্রু ধ্বংসে ভয়ঙ্কর তুর্কি ড্রোন

গোয়েন্দা নজরদারির পাশাপাশি দূরবর্তী শত্রুর ওপর শতভাগ সফল আক্রমণ হানতে এবার ড্রোন যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। একেবারে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহৃত অত্যাধুনিক বায়রাক্তার-টিবি টু যুক্ত হলো সেনা বহরে।

চট্টগ্রামের আর্মি এভিয়েশন ফরোয়ার্ড বেসে টিবি-২ ড্রোন উদ্বোধন করেন সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। ছবি: ভিডিও থেকে নেয়া

আর্মি এভিয়েশনের রানওয়েতে ঘুরে বেড়ানো ছোট্ট এই ড্রোনের ধ্বংস করার ভয়াবহতা রাশিয়া-ইউক্রেনের নাগরিকরা ভালোভাবে উপলব্ধি করছেন। এমনকি আজারবাইজান-আর্মেনিয়া এবং সিরিয়া যুদ্ধেও ব্যবহার হয়েছে তুরুস্কের তৈরি এই বায়াক্তার-টিবি-টু ড্রোন।

অবশেষে সেই ভয়ংকর ড্রোনের মালিক হয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। চট্টগ্রামের আর্মি অ্যাভিয়েশন ফরোয়ার্ড বেসে সোমবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে ড্রোনগুলোর উদ্বোধন করেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।

বায়াক্তার-টিবি-টু নামের এই আক্রমণকারী ড্রোনটি মূলত ২০১৪ সালের আগস্টে তুরস্কের আকাশে উড্ডয়নকারী বায়াক্তার-টিবি-ওয়ান সিরিজের আধুনিক সংস্করণ। এটির নকশাকার হলেন সেলজুক বায়াক্তার। তার নামেই এই ড্রোনের নামকরণ করা হয়েছে।

তুরস্কের বিমান বাহিনীর জন্য প্রথম পর্যায়ে এর নকশা তৈরি হলেও এখন পৃথিবীর ১৪টি দেশ এই ড্রোন ব্যবহার করছে। তার সবশেষ সংযোজন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। তবে আরও অন্তত ১৫টি দেশ এই ড্রেন কিনতে তুরস্কের সাথে চুক্তি করেছে।

সাড়ে ৫ মিটার দৈঘ্যের এই ড্রোন সাড়ে ৬০০ কেজি অস্ত্র বহনে সক্ষম বলে জানালেন আর্মি অ্যাভিয়েশনের গ্রুপ কমান্ডার মেজর জেনারেল বারী। তিনি বলেন, প্রধান ড্রোনটিতে চারটি লেজাট গাইডেড স্মার্ট রকেট সংযুক্ত করা যায়, যা নির্ভুল নিশানা নিশ্চিত করে। সর্বোচ্চ ১২০ নটিক্যাল মাইল গতিতে ছুটে চলা এই ড্রোন ২৭ হাজার ফুট উচ্চতায় এক নাগাড়ে ২৭ ঘণ্টা উড়তে পারে। এই ড্রোন সংযুক্তির ফলে ফোর্সেস গোল ২০৩০ বাস্তবায়নে সেনাবাহিনীর সক্ষমতা আরও বাড়ল।

আগামীতে নিজেরাই ড্রোন উৎপাদনের আশাবাদ ব্যক্ত করেন সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, আগামীতে আর আমদানি নয়, এ ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিজেই ড্রোন তৈরি করার পরিকল্পনা নিয়েছে।

এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ জানান, বেজ স্টেশন থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত ড্রোনটি চালানো যায়। এ ছাড়া এতে এমন সেন্সর রয়েছে যাতে জিপিএসের ওপর পুরোপুরি নির্ভর না করেও নেভিগেশন করতে পারে। ফলে এখন স্বশরীরে হাজির না থেকেও অনেক দূর থেকেই টার্গেট পর্যবেক্ষণ করা যাবে।

এই ৬টি ড্রোন কিনতে গত বছরেই তুরস্কের সাথে চুক্তি করেছিলো বাংলাদেশ সরকার। এই ড্রোনে জ্বালানি হিসেবে পেট্রোল ব্যবহার হয়।

নিউজফ্ল্যাশ/এসএস।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ

সর্বশেষঃ