বৈষম্যবিরোধ ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ আন্দোলন ঘিরে সারাদেশে ব্যাপক সহিংসতা হয়েছে। এতে এখন পর্যন্ত অন্তত ৭৬ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে।
রোববার (৪ আগস্ট) ছাত্রদের ডাকা অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিন নিহতদের মধ্যে সিরাজগঞ্জে ১৩ পুলিশ সদস্যসহ ১৯ জন, কিশোরগঞ্জে ৩ জন, নরসিংদীতে ৬ জন, ফেনীতে ৮ জন, রংপুরে ৪ জন, পাবনায় ৩ জন, সিলেটে ৩ জন, লক্ষ্মীপুরে ৭ জন, মুন্সীগঞ্জে ৩ জন, শেরপুরে ৩ জন, ঢাকায় ৩ জন, বগুড়ায় ৪ জন, মাগুরায় ২ জন, কুমিল্লায় এক পুলিশসহ ৩ জন, জয়পুরহাটে একজন, বরিশালে একজন ও ভোলায় একজন।
এ দিন বেলা ১১টা থেকে আন্দোলনকারীরা রাজধানী ঢাকাসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে বিক্ষোভ ও সমাবেশ শুরু করে। একই সময় প্রতিবাদ মিছিল করে আওয়ামী লীগও এর অঙ্গ সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা। মোতায়েন করা হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল পরিমাণ সদস্য। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সংঘর্ষের মাত্রা তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে ওঠে।
এদিকে সোমবার (৫ আগস্ট) থেকে তিন দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, নির্বাহী আদেশে সোম, মঙ্গল ও বুধবার সাধারণ ছুটি থাকবে।
এর আগে, রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ঢাকা মহানগরসহ সব বিভাগীয় সদর, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, শিল্পাঞ্চল, জেলা সদর ও উপজেলা সদরে সান্ধ্য আইন (কারফিউ) জারি করেছে সরকার।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।