শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সাংবাদিক ও এডভোকেট আতাউর রহমান শামীমের স্মরণসভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী যা বললেন

নিরীহ নারী-শিশু ও সাধারণ ফিলিস্তিনিদের পর পশ্চিমা বিশ্বের এইড ওয়ার্কারদেরও যে অস্ত্র দিয়ে হত্যা করা হচ্ছে, ইসরাইলে সে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ হবে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

আজ বৃহস্পতবিার দুপুরে রাজধানীর তোপখানা রোডে জাতীয় প্রেসক্লাবে সদ্যপ্রয়াত সাংবাদিক ও এডভোকেট আতাউর রহমান শামীম স্মরণসভা শেষে বুধবার ইসরাইলি হামলায় যুক্তরাজ্য, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, পোল্যান্ডের নাগরিকসহ ৭ জন এইড ওয়ার্কার নিহতের ঘটনা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এ কথা বলেন।

গাজায় ইসরাইলি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এ হামলায় মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলের বর্বরতা, নৃশংসতা ও মানুষ হত্যার মহোৎসব থামছেই না। সেখানে এইড ওয়ার্কারদের হত্যা করা হয়েছে। এটি কল্পনারও বাইরে।

হাছান মাহমুদ বলেন, ইসরাইল জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাশ হওয়া যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবকেও তোয়াক্কা করছে না। আমি আশা করবো, এই ঘটনার পর পশ্চিমা বিশ্বের বোধদয় হবে এবং তারা ইসরাইলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের সরকার যে কোনো যুদ্ধের বিরুদ্ধে। আমরা ফিলিস্তিনিদের পাশে ছিলাম, আছি এবং থাকব।

অবশ্যই আমরা দুই রাষ্ট্র নীতিতে বিশ্বাস করি, কিন্তু ১৯৬৭ সালের সীমানার ভিত্তিতে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মধ্যেই সেখানে শান্তি নিহিত, অন্যথায় সে অঞ্চলে কখনও শান্তি স্থাপিত হবে না, বলেন তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা আশা করবো, যারা ইসরাইলকে অস্ত্র সরবরাহ করে, সেই অস্ত্র যে নিরীহ নারী, শিশু ও সাধারণ মানুষকে হত্যায় ব্যবহৃত হচ্ছে, এমন কি তা দিয়ে পশ্চিমা বিশ্বের এইড ওয়ার্কারদেরও হত্যা করা হচ্ছে, এর পরে ইসরাইলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ হবে।

এর আগে স্মরণসভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্প্রতি ঢাকার বেইলী রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন নেতা সাপ্তাহিক গণবাংলা’র প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক এডভোকেট আতাউর রহমান শামীমকে তার বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন ও প্রয়াতের আত্মার শান্তি কামনা করেন।

হাছান মাহমুদ ভবনগুলোতে অগ্নিনির্বাপনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন এবং অগ্নিদগ্ধদের চিকিৎসায় শেখ হাসিনা বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের অবদানের কথা তুলে ধরেন।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান এ সময় বলেন, ‘যারা রাজনীতির নামে আগুনসন্ত্রাস করে, মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে, তাদের রাজনীতি করার অধিকার থাকতে পারে না। এরা রাজনীতিক নয়, এরা দুর্বৃত্ত। এ দেশে বিএনপি-জামাত যারা আগুনসন্ত্রাস করেছে, এখনও ওঁৎ পেতে আছে, তাদের যারা অর্থ যোগান দেয়, তারা দুর্বৃত্তদের নেতা।’

বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটি এবং সাপ্তাহিক গণবাংলা পত্রিকার যৌথ উদ্যোগে আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিমের সভাপতিত্বে ও এম এ বাশারের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এমপি, প্রয়াত আতাউর রহমানের কন্যা ফারদিন রহমান, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব সফিকুল বাহার মজুমদার টিপু, আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য উপ কমিটির সদস্য লায়ন মশিউর আহমেদ, আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া উপ কমিটির সদস্য মাহমুদ আল প্রিন্স, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটির চেয়ারম্যান সুমন সরদার বক্তব্য দেন।

বঙ্গবন্ধু একাডেমির মহাসচিব হুমায়ুন কবির মিজি, বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন টয়েল, যুবলীগ নেতা মানিক লাল ঘোষ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের যুগ্ম সাধারণ মুহাম্মদ রোকন উদ্দিন পাঠান, বঙ্গবন্ধু দুঃস্থ কল্যাণ সংস্হার সভাপতি মাহবুব হোসেন প্রয়াতের স্মৃতিচারণ করেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ

সর্বশেষঃ