বৃহস্পতিবার, ২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সহিংসতাকে ‘রাজনৈতিক প্রতিবাদ’ বললে অপরাধীরা উৎসাহিত হতে পারে: দেশের ৮১ বিশিষ্ট নাগরিকের বিবৃতি

সহিংসতাকে ‘রাজনৈতিক প্রতিবাদ’ বলে বাংলাদেশ বিষয়ে জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার কার্যালয়ের প্রেস ব্রিফিংয়ের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে দেশের ৮১ বিশিষ্ট নাগরিক। এ বিষয়ে তারা বিবৃতি দিয়েছেন।

ওই বিবৃতিতে তারা বলেন, নির্বিচারে অগ্নিসংযোগ, পুলিশ হত্যা, জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা, ভাঙচুরসহ সব ধরনের সহিংসতায় ‘রাজনৈতিক প্রতিবাদ’ অন্তর্ভুক্ত করে ব্রিফিং অপরাধীদের আরও নৃশংস হতে উৎসাহিত করতে পারে।

নাগরিক সমাজের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ৩১ অক্টোবর জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের প্রকাশিত ‘বাংলাদেশে রাজনৈতিক প্রতিবাদ’ শিরোনামের প্রেস ব্রিফিং তাদের নজরে এসেছে। এতে উল্লি­খিত কিছু পর্যবেক্ষণ তথ্যনির্ভর বলে মনে হয়নি। এ কারণে এটি পুনর্বিবেচনার দাবি রাখে।

বিবৃতিদাতারা বলেন, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ও সুপ্রিমকোর্টের অন্যসব বিচারকের বাসভবনে হামলাকারী সব দুষ্কৃতকারীকে বিএনপির কর্মী হিসাবে শনাক্ত করা হলেও জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের ব্রিফিংয়ে সেটির কোনো প্রতিফলন ঘটেনি। ৩৫ সাংবাদিককে আহত করার ঘৃণ্য ঘটনা জাতিকে উদ্বিগ্ন করেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তদন্তে ইতোমধ্যে এ ঘটনায় জড়িত মুখোশধারী ও অন্য আক্রমণকারীদের শনাক্ত করা হয়েছে। বিএনপির সঙ্গে তাদের সুস্পষ্ট যোগসূত্র পাওয়া গেছে। পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যার ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়- কিছু আক্রমণকারী মুখোশ পরে ছিল। কিন্তু জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের অনুমান-তারা ছিল ক্ষমতাসীন দলের লোক। তাদের এ অনুমান বিভ্রান্তিকর এবং বিষয়টি গভীর পর্যবেক্ষণের দাবি রাখে।

নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, সাংবাদিকদের ওপর ন্যক্কারজনক আক্রমণ, পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা, সেন্ট্রাল পুলিশ হাসপাতালে অগ্নিসংযোগ, কয়েক ডজন গাড়ি পোড়ানোর ঘটনাগুলো আরও যাচাই-বাছাই করার অনুরোধ জানানো হয়।

বিবৃতিতে স্বাক্ষরদাতাদের মধ্যে রয়েছে- অর্থনীবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ড. সারওয়ার আলী, নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসিরউদ্দিন ইউসুফ, সাবেক উপাচার্য ড. হারুন-অর-রশিদ, সাবেক আইজিপি মোহাম্মদ নুরুল হুদা, মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. কনক কান্তি বড়ুয়া, সাবেক সচিব মাসুদ সিদ্দিকী, অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান, সাবেক সচিব উজ্জ্বল বিকাশ দত্ত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মাসুদুজ্জামান, অভিনেতা পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ।

এনএফ/ এসএস।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ

সর্বশেষঃ