শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সরকারি প্রতিষ্ঠানেই ব্যক্তিগত রোগী দেখতে পারবেন চিকিৎসকরা

আগামী ১ মার্চ থেকে চিকিৎসকরা সরকারি প্রতিষ্ঠানে ব্যক্তিগত রোগী দেখতে পারবেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা নির্দিষ্ট অফিস সময়ের বাইরের সময়ে আলাদাভাবে প্রস্তুতকৃত সরকারি হাসপাতালেই চেম্বারের মাধ্যমে রোগী দেখবেন।

রোববার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

জাহিদ মালেক বলেন, চিকিৎসকরা যেন কর্মস্থলেই প্র্যাকটিস করতে পারেন, তাদের যেন বাইরে বিভিন্ন ক্লিনিক-চেম্বারে যেতে না হয়। এই সুবিধা আমরা করে দিতে চাই।

তিনি বলেন, কারা, কীভাবে ও কতক্ষণ প্র্যাকটিস করবেন, তা বাস্তবায়নে টিম গঠন করা হয়েছে। মার্চ থেকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে প্র্যাকটিস শুরু হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এ সংক্রান্ত একটি পাইলট প্রজেক্ট বাস্তবায়ন শুরু হচ্ছে। এতে ২০টি জেলা, ৫০টি উপজেলা থাকবে ও পাঁচটি মেডিকেল কলেজ অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

তিনি বলেন, এভাবে জনগণ আরেকটু ভালো স্বাস্থ্যসেবা পাবেন। একসঙ্গে অনেক ডাক্তার পাওয়া যাবে। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষারও ব্যবস্থা থাকবে।

ফি সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, চিকিৎসকরা বাইরে যেমন ফি নেন, নিজের প্রতিষ্ঠানে তার চেয়ে কম ফি নেবেন বলে আশা রাখি।

প্রাইভেট প্র্যাকটিস নতুন কনসেপ্ট নয় বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে আশা করি। এজন্য গাইডলাইন তৈরির কাজ শুরু করব।

এ বিষয়ে সরকার চিকিৎসক নেতৃবৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট সব মহলের মতামত নিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এই কাজটি শুরু করতে দ্রুতই একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করে দেওয়া হচ্ছে। দেশের মানুষের জন্য অত্যন্ত জনকল্যাণকর এই মহানুভব কাজের শুরুটি হবে মহান স্বাধীনতা মার্চ মাসের শুরু থেকেই। এই কাজটি শুরু হলে দেশের লাখ লাখ মানুষ বিভিন্ন ক্লিনিক, ফার্মেসিতে ডাক্তার দেখানোর ভোগান্তি থেকে রেহাই পাবেন।

সভায় দুইদিন আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে সারা ইসলাম নামে একজন মৃত পথযাত্রীর মরোনোত্তর অঙ্গ দানের মত মহানুভব বিষয়টি তুলে ধরেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

সভায় বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ)’র সভাপতি ডা. মোস্তাফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. সাইফুল হাসান বাদল, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, স্বাচিপ সভাপতি অধ্যাপক ডা. জামাল উদ্দিন চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ, সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. এএইচএম এনায়েত হোসেন, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও নিউরো হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. কাজী দ্বীন মোহাম্মদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ

সর্বশেষঃ