ল্যাবএইডে রাহিব রেজার মৃত্যুর কারণ এন্ডোসকপি নয় বলে জানিয়েছেন অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব (স্বপ্নীল)।
তিনি বলেন, এন্ডোসকপি করার এক্ষেত্রে রোগীর সম্মতি নেয়া হয়। সেক্ষেত্রে এখানে তাই করা হয়েছে। যা যা যন্ত্রপাতি দরকার সবকিছুই রাখা হয়েছিলো। রোগীর অবস্থা খারাপ হলে জরুরি ভিত্তিতে যা করার প্রয়োজন সবই করা হয়েছিলো।
রাজধানীর ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালে সোমবার সকালে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে রাহিব রেজা (৩১) নামক এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি রাজধানীর স্টার্টিক ইঞ্জিনিয়ারিং নামের একটি প্রতিষ্ঠানে প্রোডাক্ট ম্যানেজার ও আইটি কনসালটেন্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
স্বজনদের অভিযোগ, ল্যাবএইড হাসপাতালে পরীক্ষার রিপোর্ট না দেখেই রাহিব রেজাকে অ্যানেস্থেশিয়া প্রয়োগ করা হয়। শারীরিক জটিলতার মধ্যেই এন্ডোস্কোপি করা হয়। যে কারণে তার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয় এবং একপর্যায়ে শারীরিক অবস্থা আরও জটিল হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। আর এ জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজি বিভাগের প্রধান, অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব (স্বপ্নীল) দায়ী বলে অভিযোগ করেন স্বজনরা।
তবে অধ্যাপক ডা. স্বপ্নীল বলেন, সাধারণত এন্ডোসকপি দুই ভাবে করা হয়। একটি হচ্ছে ঘুম পাড়িয়ে, আর একটি ঘুম না পাড়িয়ে। যখন কেউ ঘুম পাড়িয়ে এন্ডোসকপি করার পরামর্শ দেন, তখন আমরা শুধু ঘুম পাড়ানোর ওষুধেই ব্যবহার করি, অন্য কোনো ওষুধ ব্যবহার করি না।
তিনি বলেন, পৃথিবীর কোথাও এন্ডোসকপি করার আগে ঘুম পাড়ানোর আগে কোনো পরীক্ষা-নীরিক্ষার করার নিয়ম নেই। ঘুম পাড়িয়ে করলে সহজেই এন্ডোসকপি করা যায়। এক্ষেত্রে তাই করা হয়েছে।
রোগীর রিপোর্ট দেখা হয়নি, এমন অভিযোগে জবাবে এই চিকিৎসক বলেন, রোগীর রিপোর্ট সবগুলোই দেখা হয়েছে। এন্ডোসকপি করা যাবে না, এমন কোনো রিপোর্ট ছিলো না। কিংবা এন্ডোসকপি করা যায় না, এমন কোনো রোগ যে আছে, সেই কথাও রোগীর স্বজনরা আমাদের জানাননি।
নিউজফ্ল্যাশ/ এসএস।