রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে অপসারণে কোনো হঠকারী সিদ্ধান্ত না নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর শেরে-বাংলানগরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে যুবদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এই আহ্বান জানান।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এখানে আজকে শপথ নিয়েছি আমাদের যে স্বাধীনতা সেটা যেকোনো মূল্য রক্ষা করবো। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে দীর্ঘ সংগ্রাম শেষে ৫ আগস্ট দেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীন হয়েছে। এই সংগ্রামে যুবদলের ভূমিকা নিঃসন্দেহে উল্লেখযোগ্য।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অসুস্থ তা স্বত্ত্বেও আমাদের নেতা তারেক রহমানের নেতৃত্বে যুবদল আগেও চেয়েও অনেক বেশি শক্তিশালী হয়েছে। বাংলাদেশের যারা ভালো চায় না তাদের প্রতিহত করার জন্য যুবদল অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।
রাষ্ট্রপতি অপসারণে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা আপনাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এ বিষয়ে বিএনপির অবস্থান জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপির যে সর্বোচ্চ ফোরাম রয়েছে সেই ফোরামে আলোচনা হবে। আলোচনা শেষে আমাদের অবস্থান পরিস্কার করবো।
তিনি বলেন, আমরা এর আগেও বলেছিলাম গণঅভ্যুত্থানের ফসলকে ঘরে তোলার জন্য বাংলাদেশের বিপ্লবকে যদি সংহত করতে হয় তাহলে কোনো রকম হঠকারী সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না, সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় সবকিছু হওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি। তার জন্য বেশি প্রয়োজন অতিদ্রুত নির্বাচনকেন্দ্রিক সংস্কার শেষে নির্বাচন আয়োজন করা।
নির্বাচন দেরি হলে কোনো ষড়যন্ত্রের আশঙ্কা করছেন কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা বারবার বলছি যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন করা দরকার। একটি সাংবিধানিক রাজনৈতিক শক্তির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।
যুবদলের সভাপতি মোনায়েম মুন্নার সভাপত্বিতে ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়নের পরিচালনায় জিয়াউর রহমানের মাজারে আরও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, দলের ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ ভুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।