সোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

রনির ঝড়ে উড়ে গেল সিলেট

তৌহিদ হৃদয় ও মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে লড়াকু পুঁজি পেয়েছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। তবে রান তাড়ায় নেমে লক্ষ্যটা সহজই বানিয়ে ফেললেন রনি তালুকদার। তার বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ৮ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে রংপুর রাইডার্স।

শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দ্বিতীয় ম্যাচে সিলেটের দেয়া ১৭১ রান তাড়া করতে নেমে ২ ওভার হাতে রেখেই মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় রংপুর।

৩৫ বল মোকাবিলায় ৮ চার ও ৩ ছক্কায় ৬৬ রান করেন রনি। সিলেটের হয়ে একটি করে উইকেট তুলে নেন মোহাম্মদ ইরফান ও রেজাউর রহমান রাজা।

এদিন মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে রান তাড়ায় নেমে শুরু থেকেই সিলেটের বোলারদের ওপর চড়াও হন রংপুরের দুই ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম ও রনি তালুকদার। মাত্র ৯.৩ ওভারেই তারা দলকে ১০০ রান এনে দেন। বাকি ব্যাটারদের কাজটা সহজ করে দিয়ে রনি মোহাম্মদ ইরফানের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে মাঠ ছাড়েন।

তবে ফিফটির কাছাকাছি গিয়েও হতাশ হতে হয় নাঈমকে। ৩২ বলে ৬ চারের মারে ৪৫ রান করে রাজার বলে বোল্ড হন তিনি। তৃতীয় উইকেট জুটিতে বাকি দায়িত্বটা সামলে নেন শোয়েব মালিক ও নুরুল হাসান সোহান। শোয়েব ২৪ বলে ৫ চারের মারে ৩৯ রানে অপরাজিত থাকেন। সোহান এক চারের সাহায্যে ১৭ বলে ১৭ রান করে অপরাজিত থাকেন।

তাতে টানা পঞ্চম জয় তুলে নিয়েছে রাইডার্স শিবির। ১০ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে তারা অবস্থান করছে তালিকার চারে। হারলেও ১১ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই আছে সিলেট স্ট্রাইকার্স।

আগের ম্যাচে চোট পাওয়া এ ম্যাচে ছিলেন না সিলেটের নিয়মিত অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। তার বদলে ফ্র্যাঞ্চাইজিটির দায়িত্ব নিয়ে ব্যাট হাতে ভূমিকা রাখলেও দলকে জয় এনে দিতে ব্যর্থ হন মুশফিক।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে মন্থর গতিতে ব্যাট করতে থাকে সিলেটের দুই ওপেনার তৌহিদ হৃদয় ও নাজমুল হোসেন শান্ত। প্রথম ৫০ বলে তাদের ব্যাট থেকে আসে মাত্র ৪৩ রান। ২২ বলে ১৫ রান করে হাসান মাহমুদের বলে শান্ত বোল্ড হলে ক্রিজে আসেন জাকির হাসান। তিনি দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করেন। তবে মেহেদী হাসানকে তুলে মারতে গিয়ে অ্যারন জোন্সের হাতে ধরা পড়ায় তার ইনিংস থামে মাত্র ৭ রানে।

তৃতীয় ‍উইকেট জুটিতে ক্রিজে আসেন মুশফিকুর রহিম। মারমুখো ব্যাটিংয়ে এ অভিজ্ঞ ব্যাটার দলীয় রানে গতি আনেন। অপরপ্রান্তে থাকা হৃদয়ও খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। ৪৩ বলে ৯ চার ও ১ ছক্কার মারে তিনি তুলে নেন আসরে নিজের পঞ্চম ফিফটি। অন্যদিকে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ফিফটি তুলে নেন মুশফিক। ৩৫ বলে তিনি অপরাজিত থাকেন ৫৫ রানে।
শেষ পর্যন্ত ক্রিজে অপরাজিত থেকে ৫৭ বল মোকাবিলায় ১৩ চার ও ২ ছক্কায় ৮৫ রানে অপরাজিত থাকেন হৃদয়। তাতে সাকিব আল হাসান ও নাজমুল হোসেন শান্তদের পেছনে ফেলে তিনি উঠে যান আসরে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকার শীর্ষে। ৮ ইনিংসে ৫৩.২৮ গড়ে তার রান এখন ৩৭৩।

হৃদয় ও মুশফিকের ১১১ রানের জুটির ওপর ভর করে নির্ধারিত ওভার শেষে ২ উইকেট হারিয়ে ১৭০ রান সংগ্রহ করে সিলেট। কিন্তু তাদের এ সংগ্রহটা জয়ের জন্য পর্যাপ্ত প্রমাণ করতে পারেননি সিলেটের বোলাররা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ

সর্বশেষঃ