কাতার বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বের আলোচনা সমালোচনার শেষ নেই। এর অংশ হিসেবে ইউরোপীয় দলগুলো ‘ওয়ান লাভ’ ক্যাম্পেইন হাতে নিয়েছিল। যার অংশ হিসেবে বিশ্বকাপে আর্মব্যান্ড পড়ে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইউরোপের ৭টি দলের অধিনায়করা।
কিন্তু বিশ্বকাপ মাঠে গড়ানোর পর দলগুলোর খেলোয়াড়দের ‘বিতর্কিত রংধনু’ থিম যুক্তু আর্ম ব্যান্ড পড়ে মাঠে নামার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ফিফা। বলা হয় ফিফার নিয়ম ভঙ্গ করলে ডিসিপ্লিনারী ব্রবস্থা নেয়া হবে। তবে এতে দমে না গিয়ে ভিন্ন পন্থায় নিজেদের প্রতিবাদ অব্যাহত রেখেছে দলগুলো।
বুধবার দোহার খালিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে জাপানের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে মাঠে নামার আগে জার্মান দলের খেলোয়াড়রা তাদের অফিসিয়াল ছবিতে পোজ দিয়েছে হাত দিয়ে মুখ ঢেকে।
কাতারে সমকামীতার উপর কঠোর বিধিনিষেধ রয়েছে। তাই সমকামীতার প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত রংধনু আর্ম ব্যান্ডকে কাতারের আইনের বিরুদ্ধে প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
প্রতিবাদের এই ছবি প্রসঙ্গে জার্মানি ফুটবল ফেডারেশন টুইট করেছে,‘ এটি কোন রাজনৈতিক বিবৃতি নয়। বরং মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে। যেটি কোন ভাবেই আপোষযোগ্য নয়। আমাদের আর্মব্যান্ড অস্বীকার করা মানে আমাদের কন্ঠস্বরকে অস্বীকার করা। আমরা আমাদের অবস্থানে অটল আছি।’