মজুরি বোর্ড কর্তৃক গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি সাড়ে ১২ হাজার টাকা ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় ওই প্রস্তাবকে প্রহসনমূলক উল্লেখ করে তা প্রত্যাখ্যান করেছে মজুরি বৃদ্ধিতে গার্মেন্টস শ্রমিক আন্দোলন। তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে অবিলম্বে ঘোষিত মজুরি পুনর্বিবেচনা করে গার্মেন্টস শ্রমিকের ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা ঘোষণার দাবি জানানো হয়েছে। দাবি আদায়ে আগামী শুক্রবার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শ্রমিক সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর তোপখানা রোডে মজুরি বৃদ্ধিতে গার্মেন্টস শ্রমিক আন্দোলনের আহ্বায়ক তাসলিমা আখতারের সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব সাদেকুর রহমান শামীমের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি মন্টু ঘোষ, সহসভাপতি জলি তালুকদার, গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেন, অঞ্জন দাশ, গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মাসুদ রেজা, সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ, গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরামের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম সবুজ, ওএসকে গার্মেন্টস অ্যান্ড টেক্সটাইল শ্রমিক ফেডারেশন সভাপতি ইয়াসিন আলী, সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ দত্ত, বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাইদ, বিপ্লবী গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির কেন্দ্রীয় নেতা সাইফুল ইসলাম, গার্মেন্টস শ্রমিক মুক্তি আন্দোলনের সভাপতি শবনম হাফিজ, ডা. হারুনুর অর রশীদ, জাতীয় সোয়েটার গার্মেন্টস ফেডারেশনের সভাপতি এ এম ফয়েজ হোসেন ও গার্মেন্টস শ্রমিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা বিপ্লব ভট্টাচার্য, রাষ্ট্র সংস্কার শ্রমিক আন্দোলনের নেতা শাহ আলম প্রমুখ।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, মালিকপক্ষ ইচ্ছাকৃত বিলম্ব করে মজুরি বৃদ্ধির বিষয়টি এ সময়ে টেনে এনেছে, যার সম্পূর্ণ দায়-দায়িত্ব মালিকদের নিতে হবে। আইন মেনে ছয় মাসের মধ্যে শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির বিষয়টি ফয়সালা না করে নভেম্বর মাস পর্যন্ত বিলম্ব করা হয়েছে। এখন এসে সাড়ে ১২ হাজার টাকা প্রস্তাব দেওয়ার মধ্য দিয়ে দ্রব্যমূল্যের কশাঘাতে জর্জরিত শ্রমিকদের ক্ষোভকে উসকে দেওয়া হচ্ছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশের বিভিন্ন শিল্পাঞ্চলে মজুরি বৃদ্ধির যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলনরত গার্মেন্টস শ্রমিকদের ওপরে গুলিবর্ষণ, হামলা, নির্যাতন ও শ্রমিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।