ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারি প্রেমের মাস। ৮ ফেব্রুয়ারি প্রেমপ্রস্তাব দিবস (প্রোপোজ় ডে)। এমন দিনে ও পার বাংলার নায়িকার এত আক্ষেপ কেন?
পরীমনি কি বিশ্বাস করে আবার ঠকলেন? ভরা প্রেমের মাসে দুই বাংলার নায়িকা আফসোসে ভুগছেন! সমাজমাধ্যমে তিনি লিখলেন, “আপনি ভুল মানুষে বিশ্বাস/ভরসা করবেন, মার খাইলে তাঁদের দোষ দেবেন, এটা তো ঠিক না বস!” ব্যস, এটুকু ভাবনা ভাগ করে নিতেই নায়িকার বক্তব্য সমাজমাধ্যমে ছয়লাপ। পোস্টের নীচে আবার তাঁর আপ্তসহায়ক তুরান মুন্সির নাম!
ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারি প্রেমের মাস। ৮ ফেব্রুয়ারি প্রস্তাব দিবস (প্রোপোজ় ডে)। এমন দিনে নায়িকা দার্শনিক! তিনি নিজের জীবন দিয়ে অনুভব করেছেন, যাঁদের কাছে নিজেকে যত বেশি ‘খোলা খাতা’র মতো মেলে ধরবেন, ততই সেই ব্যক্তি আপনার জীবন নরক করে তুলবে। নিজের উপার্জন, আয়-ব্যয়, জমানো টাকার হদিস, আপনার অনুভূতি যিনি জানবেন বা খুব কাছের ভেবে যাঁকেই বিশ্বাস করবেন- তিনিই সমস্যা তৈরি করবেন। পরীমনির কথায়, “ব্যস, এতেই আপনার জীবন উদ্ধার হয়ে যাবে! যদি সেই মানুষ/মানুষেরা সঠিক না হন।”
পরীর জীবনে কি আবারও প্রেম এল? আবারও কি ভালবাসায় ব্যথা পেলেন তিনি? না হলে কেন এত হা-হুতাশ? তুরান আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়েছেন, এটা নায়িকার নিজের উপলব্ধি। অনেক সময়েই তিনি নিজের বিশ্বাস, মনের কথা অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নেন। ভালবাসেন সকলের সঙ্গে নিজেকে মেলে ধরতে। এটা তারই বহিঃপ্রকাশ, আর কিছু নয়।
প্রসঙ্গত, কলকাতায় তাঁর ছবি ‘ফেলু বক্সী’ মুক্তির আগে আনন্দবাজার অনলাইনকে পরীমনি বলেছিলেন, “কী করে যে বোঝাই, আমার আর প্রেম আসে না! ওই পর্যায় থেকে বেরিয়ে এসেছি। জীবন অনেক কিছু শিখিয়ে দিল। অনেক রকম ভাবে চলতে শেখাল। সম্ভবত, আমার এখন সেই অবস্থা যাচ্ছে। তা ছাড়া, এত প্রেম করেছি! আমার মতো প্রেম বোধহয় ইন্ডাস্ট্রিতে কেউ করেনি (হা হা হাসি)। আমার প্রেমের তাই কোটা শেষ।”