শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ

বর্তমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বচ্যাম্পিয়ন তারা। কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে এর আগে একটি মাত্র ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড। এই ফরম্যাটে দুই দলের দ্বিতীয় সাক্ষাতে টাইগারদের সামনে স্রেফ উড়ে গেছে ইংলিশরা। দুই ওভার বাকি থাকতেই বাটলার বাহিনীদের সাকিবরা হারিয়েছেন ৬ উইকেটে। এতে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল লাল-সবুজের জার্সিধারীরা। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ আগামী ১২ মার্চ, মিরপুরে।

বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৫১ রান করেন শান্ত। মাত্র ৩০ বলে এই রান করেন তিনি। এছাড়া তৌহিদ হৃদয় ২৪ ও রনি তালুকদার ২১ রান করেন। শান্ত-হৃদয়ের জুটি বাংলাদেশকে জয়ের ভিত গড়ে দেয়। মাত্র ৩৯ বলে ৬৫ রান আসে এই জুটি থেকে। এরপর সাকিব-আফিফের ব্যাটে ভর করে বাংলাদেশ জয় নিশ্চিত করে।

টাইগারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ইংলিশদের রানার চাকা বেঁধে রাখতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ। ইংল্যান্ড ২০ ওভারে থেমেছে ৬ উইকেটে ১৫৬ রান তুলেই। ১৫৭ রানের লক্ষ্যে নেমে রনি-লিটনে উড়ন্ত সূচনা পায় স্বাগতিকরা। তবে সেই ঝড় বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। আদিল রশিদের গুগলিতে ১৪ বলে ২১ রান করে ফেরেন রনি। এরপর টিকতে পারেননি লিটনও। আর্চারের স্লোয়ার বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে ওকসের তালুবন্দি হন তিনি। ফেরার আগে ১০ বলে ১২ রান করেন লিটন। আর্চারের স্লোয়ার বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে ওকসের তালুবন্দি হন তিনি। ফেরার আগে ১০ বলে ১২ রান করেন লিটন।

পাওয়ারপ্লেতে বাংলাদেশ তুলেছে ৫৪ রান। পাওয়ারপ্লে শেষ হতেই বোলিংয়ে মার্ক উডকে আনেন বাটলার। উডকে পেয়ে প্রথম চার বলে চারটি বাউন্ডারি মেরে এক ওভারে শান্ত তুললেন ১৭ রান। ১১তম ওভারে দলীয় একশো পেরোয় বাংলাদেশ। পরের ওভারেই মঈনের বলে সিঙ্গেল নিয়ে ফিফটি পূর্ণ করেন নাজমুল। তার এই ফিফটি মাত্র ২৭ বলে।

শান্তর ফিফটির পরেই সাজঘরে ফেরেন তৌহিদ হৃদয়। মঈনের বলে কারেনের ক্যাচ হয়ে ফেরার আগে ১৭ বলে ২৪ রান করেন হৃদয়। নাজমুলের সঙ্গে হৃদয়ের জুটিতে ৩৯ বলে উঠে ৬৫ রান। পরের ওভারেই উডের ১৪৬ কিলোমিটার গতির গোলায় বোল্ড হন শান্ত। ফেরার আগে ৩০ বলে ৫১ রান করেন তিনি। বাকি পথটা আফিফকে নিয়ে শেষ করেন সাকিব। এই দুই ব্যাটারের ৪৬ রানের জুটিতে ভর করে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ দল। আফিফ থাকেন ১৩ রানে অপরাজিত।

ইংলিশদের হয়ে ১টি করে উইকেট সংগ্রহ করেছেন জোফরা আর্চার, মঈন আলি, আদিল রশিদ এবং মার্ক উড।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ফিল সল্ট ও জস বাটলার উড়ন্ত শুরু দেন। ফিল সল্টকে ফিরিয়ে ৮০ রানের এ জুটি ভাঙেন নাসুম আহমেদ। ৩৫ বলে ৩৮ রান করে উইকেটের পেছনে লিটন দাসের হাতে ধরা পড়েন সল্ট। এরপর সাকিব আল হাসান ফেরান ডেভিড মালানকে (৪)।

বেন ডাকেট ও জস বাটলার দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন। দলীয় ১৩৫ রানে এই জুটি ভাঙেন মুস্তাফিজুর রহমান। ১৩ বলে তিন চারে ২০ রান করা ডাকেট বোল্ড হন ফিজের বলে। এর পরের ওভারে হাসানের প্রথম বলেই শান্তর ক্যাচ হয়ে ফেরেন বাটলার। ৪২ বলে চারটি করে ছক্কা ও চারে ৬৭ রান করেন ইংলিশ অধিনায়ক। এরপর পরের ব্যাটাররা আসা যাওয়ার মিছিলে যোগ দেন। স্যাম কারেন, ক্রিস ওকসরা একের এক ফেরেন। কেউই রান দুই অঙ্কের কোটায় নিতে পারেননি।

বাংলাদেশের হয়ে হাসান মাহমুদ নেন দুইটি উইকেট। এছাড়াও সাকিব আল হাসান, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমানরা একটি করে উইকেট নেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ

সর্বশেষঃ